কলকাতা: এবার স্বাস্থ্য ভবনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ (COVID-19)। খোদ কলকাতার ভবানীপুর সেন রোডের ঘটনা। একই পরিবারের চারজন করোনা আক্রান্ত। অভিযোগ, এর মধ্যে মা ও এক ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়। শুক্রবার সেই ভর্তি করাতে গিয়েই নাকানিচোবানি খেতে হয়। অভিযোগ, প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পর পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে আনা হলে সেখানেও চলে টালবাহানা।
কোভিড আক্রান্তের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা এক স্বেচ্ছাসেবী বরুণ দাস জানান, “এই রোগীর বাড়িতে চারজন থাকেন। চারজনই করোনা পজিটিভ। বড় ছেলে কেপিসিতে ভর্তি। সেখানেও আমাদের এক অভিজ্ঞতা। স্বাস্থ্য ভবনে জানানোর পর অ্যাম্বুলেন্স এল কয়েক ঘণ্টা পর। কেপিসিতে যেতেই বলছে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। আবার স্বাস্থ্য দফতরে ফোন করে কথা বলার পর আরও ২ ঘণ্টা কাটিয়ে রোগী ভর্তি করানো হল।”
বরুণবাবুর অভিযোগ, একই সমস্যা হয় সংক্রমিত ওই ব্যক্তির মাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করাতে গিয়েও। বরুণবাবু বলেন, “এই মহিলার ক্রিটিক্যাল কনডিশন। উনি হার্টের রোগী। সাইনাসের সমস্যা। সকালে স্বাস্থ্য ভবনে ফোন করা হয়েছিল। বলা হল অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে। সে এল দেরী করে। তার পর আবার হাসপাতালে এসে সমস্যা। বলছে, স্বাস্থ্য ভবন কিছু জানায়নি। আমার কাছে জানতে চাইছে, বেড নম্বর দিয়েছে কি না। এই করে প্রায় তিন ঘণ্টা কাটিয়ে তারপর ভর্তি নিল।” এভাবে একজন কোমর্বিডিটি থাকা কোভিড রোগীকে হাসপাতালের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হলে যে কোনও সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে বলেও সরব হন তিনি।