Panchayat Election Candidates: রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জয়ী প্রার্থীদের অপহরণ! খাস কলকাতায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা
Panchayat Election Candidates: রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তাঁরা দেখেন হঠাৎ তাঁদের গেস্ট হাউসের নীচে পরপর বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে তৃণমূল নেতারা ছিলেন বলে অভিযোগ।
কলকাতা: খাস কলকাতায় রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগ। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক গাড়ি। গাড়িতে তোলা হচ্ছে কয়েকজনকে। এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। অতিথিদের এভাবে তুলে নিয়ে যেতে দেখে আতঙ্কিত গেস্ট হাউসের মালিক। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না, তাঁর অতিথিদের নিয়ে গেল কারা? বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার পঞ্চসায়র থানা এলাকায়। যাঁদের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থী বলে জানা গিয়েছে। তিন বিজেপি প্রার্থী ও এক বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বিরোধীরা।
পঞ্চসায়র থানা এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার প্রার্থী। তাঁদের পরিবারের দাবি, রাত ঠিক ১১ টা ৭ মিনিট থেকে ১১ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা গেস্ট হাউসে এসেছিলেন। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তাঁরা দেখেন হঠাৎ তাঁদের গেস্ট হাউসের নীচে পরপর বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে তৃণমূল নেতারা ছিলেন বলে অভিযোগ।
গেস্ট হাউসের মালিক বাপ্পা ঘোষ জানান, হঠাৎ গণ্ডগোলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠে তিনি দেখেন তাঁর অতিথিদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ বা কারা। তিনি জানান, অনেকেই যেতে চাইছিলেন না, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, তা দেখেননি তিনি। বাপ্পা ঘোষের দাবি, বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আছে বলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই পরিবারগুলি।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৫টি আসন রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জয় পায় ৪টিতে। সিপিএম পায় ৩টি আসন। বিজেপি ৬টি ও নির্দল পায় ২টি আসন। অভিযোগ, তৃণমূল বেশ কিছুদিন ধরেই দলবদল করতে বিরোধীদের চাপ দিচ্ছিল। রাতে থানায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পুলিশ। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শনিবারই হাইকোর্টে যাচ্ছেন তাঁরা।
কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, তৃণমূল কখনও কাউকে অপহরণ করেনি। বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারছে না, তাই এভাবে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করছে।