Maheshtala: মহেশতলায় ভরসন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীকে কোপ, ডেকে এনে হামলার অভিযোগ
Mahestala: বাটামোড়ে যেখানে এই ঘটনা ঘটে, একটি মাঠ আছে। অনেক বাচ্চাই সেখানে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেয়। মায়েরা সন্তানদের নিয়ে এসে সেখানে অপেক্ষা করেন। এদিন ভরসন্ধ্যায় সেখানেই এক যুবকের উপর এমন প্রকাশ্যে হামলার ঘটনায় হতবাক তাঁরা। মনোজের দাবি, তাঁকে ফোন করে ডেকে আনে ওই যুবক।
কলকাতা: ভরসন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যায় মহেশতলা বাটামোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত যুবকের নাম মনোজ বোস ওরফে পাপ্পু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আক্রান্তের হাতের আঘাতই বেশি। চোট পেয়েছেন নাকে, কোমরে, পেটেও। মনোজের দাবি, যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, এক সময় বন্ধু ছিলেন। একইসঙ্গে মনোজ জানান, এর আগেও একবার তাঁর উপর হামলা হয়। যদিও সে ঘটনা অন্য একজন ঘটিয়েছিল। তার সঙ্গে এই অভিযুক্তের সম্পর্ক নেই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছুরিটি উদ্ধারও করে তারা। অন্যদিকে আহত মনোজকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাটামোড়ে যেখানে এই ঘটনা ঘটে, একটি মাঠ আছে। অনেক বাচ্চাই সেখানে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেয়। মায়েরা সন্তানদের নিয়ে এসে সেখানে অপেক্ষা করেন। এদিন ভরসন্ধ্যায় সেখানেই এক যুবকের উপর এমন প্রকাশ্যে হামলার ঘটনায় হতবাক তাঁরা। মনোজের দাবি, তাঁকে ফোন করে ডেকে আনে ওই যুবক। বাটা মোড়ে দেখা করতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি হঠাৎই ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তাঁর কথায়, “আমি তেল ভরতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ফোনে ডাকল আমায়। আমি আসতেই ছুরি বের করে চালাতে শুরু করল। হাত, নাক রক্তে ভাসছে। ও আমার বন্ধুও ছিল এক সময়। আমি তৃণমূল করি। যে মারল ও কিন্তু কোনও পার্টিও করে না।”
শেখ সলিল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “হঠাৎ দেখি বড় ছুরি নিয়ে একজন আরেকজনের পিছন পিছন ছুটছেন। আমি চিৎকার করে ধর ধর বলতেই ছুরি ফেলে পালিয়ে যান। কোমরে পিস্তলও ছিল দেখেছি।” আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সুনু মজুমদার বলেন, “আমি বসেছিলাম। একজন বাইক নিয়ে এসে বলতে শুরু করল তুই এগুলো কী করেছিস? বলেই মারতে শুরু করে দিল। একেবারে ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ। যাকে মারছে সে তো অবাক। পালাতে চেষ্টা করতেই ওর পিছু পিছু ছুরি নিয়ে ছুটতে থাকে ছেলেটি। পিঠে, পেটে কোপ মেরেছে।”
সুনু মজুমদার বলেন, “ক্যারাটে খেলা হয় এখানে। মহিলারা বাচ্চা নিয়ে বসেছিলেন। সকলেই ভয়ে দৌড়তে থাকেন। একটা মেয়ে তো স্কুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন একজনের সঙ্গে। সেই স্কুটি ফেলে দৌড় লাগালেন।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।