
মুকুন্দপুর: বকেয়া মেটাতে বলায় তাণ্ডব রোগীর পরিবারের। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মুকুন্দপুরের বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৩ তারিখ থেকে এই হাসপাতালে কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন পূর্বালক এলাকার তমাল দাস নামে ৭৬ বছরের এক রোগী।
হাসপাতালের দাবি ওই রোগীর বিল হয়ে যায় ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা বাকি। হাসপতালের অভিযোগ ওই টাকা চাইলে রোগীর পরিজনরা হুমকি দেয়। তারপর এলাকার লোকজন নিয়ে এসে ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় হাসপাতালে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্ত্বর। খবর যায় পুলিশের কাছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রোগীর পরিজনরা। অন্যদিকে হাসপাতালের ম্যানেজার সঞ্জীব সেনগুপ্ত বলেন, “রোগীর অনেক টাকা বকেয়া হয়ে যায়। এখনও ওনার ৭০ হাজার টাকা মতো বাকি। সেটা আমরা দিতে বলি। বারবার বোঝাই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উনি বিরক্ত হয়ে গিয়ে উনি চিকিৎকার-চেঁচামেঁচি শুরু করে দেন। ওনার পাড়া থেকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক এসে যায়। আমাদের নার্সদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। এখানে যে মহিলা স্টাফ রয়েছে তাঁদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। হাসপাতালের অনেকে আহত হয়েছে। তারপরই আমরা পুলিশকে খবর দিই।”