
কলকাতা: “সোনার বাংলা, পরিবর্তন, মা মাটির মানুষের স্লোগান দিয়ে বামেদের হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। কিন্তু পরিবর্তন কি হয়েছে?” এদিন ধর্মতলার মঞ্চে উঠে শুরুতেই সমবেত জনতার উদ্দেশে এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বক্তব্য রাখতে শুরু করা থেকে শেষ পর্যন্ত শাহের নিশানায় শুধুই মমতা ও মমতার সরকারের দুর্নীতি। করলেন বেনজির আক্রমণ। এমনকী তাঁর মুখে শোনা গেল পার্থ-অনুব্রত-জ্যোতিপ্রিয়দের নামও। শাহের দাবি, “যে বাংলা সাহিত্য-বিজ্ঞান-কলা-স্বাধীনতা আন্দোলনে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত সেই বাংলাকে আজ সবথেকে পিছনে আনার কাজ দিদি করেছেন। দিদি বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গরু চুরি হোক, কয়লা চুরি হোক, নিয়োগ দুর্নীতি হোক, বাংলার মানুষের টাকা এরা খেয়েছে।”
এরপরই মমতাকে নিশানা করে শাহ বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান”। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গরু, কয়লা পাচার মামলায় শ্রীঘরে দিন কাটছে তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী, আমলা, নেতাদের। বাংলায় নয়, একেবারে দিল্লির তিহারে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রতর। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। শাহের দাবি, মোদী সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠালেও তৃণমূলের জন্যই তা আর যাচ্ছে না বাংলার গরিব মানুষের কাছে। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোট সন্ত্রাস নিয়েও এদিন দফায় দফায় সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।
মমতাকে ফের নিশানা করে শাহ বলেন, “আপনি সন্ত্রাস করে জিতেছেন। তাও আমরা ৭৭ টি আসন পেয়েছি। আমরা ২০২৬ সালে দুই তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে জিতব।” এরপরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “চব্বিশের ভোটে মানুষকে অনুরোধ করব এত আসন আমাদের দিন যাতে মোদীজি বলেন আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বাংলার জন্য।” তৃণমূলের সঙ্গেই তুলোধনা করেন বামেদেরও। বলেন, “কমিউনিস্ট, তৃণমূল বাংলার ভাল করতে পারে না। বাংলার ভাল, সোনার বাংলা তৈরির কাজ করবে শুধুমাত্র বিজেপি।”