কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমাকে ‘ধর্ষণ’ ও খুনে আর কি কেউ জড়িত? একটি ভাইরাল অডিয়ো ঘিরে উঠল প্রশ্ন। ভাইরাল ওই অডিয়ো চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক ইন্টার্ন। তাঁর সঙ্গে অন্য এক মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ডাক্তারের ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল অডিয়োয় কী বলছেন তাঁরা?
পিজিটি: আরজি করে কী হয়েছে, ঘটনাটা বল…
ইন্টার্ন: আরজি করের পুরো আন্দোলনই মেকি। প্রিন্সিপাল ও তাঁর সাগরেদরাই এই আন্দোলন চালাচ্ছে। আন্দোলনের আলাদা কোনও মুখ নাই। কর্তৃপক্ষ যে কোনও পদক্ষেপ করছে না। উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছে। এর বিরুদ্ধে কিন্তু কিছু নেই। আমাদের উপর নির্ভর করে বাইরের লোক এতকিছু করছে, ভাল লাগছে। কিন্তু, আমরা নিজেরাই সাসটেইনেবল নই।
এখানে কালকে একটা ভিডিয়ো এসেছে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। যেটা নিয়ে আমরা সরব হই। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, আমরা ওটা ভুলে যাই। কিন্তু, ওরা তো জানে না, সেইটুকু আইকিউ রয়েছে, যে ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেরকম ইনজুরি রয়েছে দিদির(মৃত তিলোত্তমা), তাতে তো একজনের কাজ নয়, কমপক্ষে ২ বা তিনজন রয়েছে।
পিজিটি: কারা হতে পারে? কী সন্দেহ করছিস তোরা?
ইন্টার্ন: দাদা, আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ। যে ইন্টার্নের যথেষ্ট রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না। তাতে আমারই সমস্যা হয়ে যাবে।
পিজিটি: না, নাম নিতে হবে না।
ইন্টার্ন: আমার খারাপ লাগছে, আমারই ব্যাচ-মেট এমন করতে পারে। তাঁকে নিরাপত্তা দিতেই এতগুলো গেম খেলা হচ্ছে। গোটা আন্দোলনটাই আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে। একটা খারাপ সময়ে কেউ যদি তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়, সে যখন সরে যায় সবকিছু ভেঙে পড়ে। সেটাই হবে। কাল কিংবা পরশুর অপেক্ষা।
দাদা, সবার কাছে আমার আবেদন, আমাদের উপর নির্ভর করবেন না। একজন মহিলা, একজন মা, একজন বোনের উপর এমন হয়েছে। সাধারণ মানুষ, অন্যান্য কলেজগুলি যেন আমাদের পাশে থাকে। আরজি কর থেকে কিছু আশা করো না। যেখানে অভিযুক্ত লুকিয়ে রয়েছে, সেখানে আমাদের থেকে কিছু আশা করো না। তোমরা নিজেদের মতো আন্দোলন করে যাও। আমাদের কথাও শুনো না।
যেখানে জেনারেল বডির বৈঠকে কিছু সুরাহা করা হচ্ছে না। যেখানে জেনারেল বডির বৈঠক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। আবার প্রিন্সিপাল এসে বলছেন, কেন রাতে ওখানে ঘুমাবে? সেমিনার রুম কি ঘুমানোর জায়গা। যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ লোপাট হয়ে যাচ্ছে। যেখানে পুলিশ এসে প্রথমে বলছে আত্মহত্যা। যেখানে কাউন্সেলিং কমিটিতে সাইকিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে রাখা হয়েছে, এটা প্রমাণ করতে যে দিদি(মৃত চিকিৎসক) মনোরোগী ছিল। দিদির সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছিল। দিদি একদম স্বাভাবিক ছিল।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)