Anubrata Mondal: ‘উন্নয়নে’র নামে জমি দান, গ্রহিতা অনুব্রত, কেষ্টর পদ এবার বাড়াল দলের বিপদ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 24, 2022 | 11:29 AM

Anubrata Mondal: দলিলের বয়ান অনুযায়ী, দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্যই এই জমি দান করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন দলিলে অনুব্রত মণ্ডল কেন গ্রহীতা?

Anubrata Mondal: উন্নয়নের নামে জমি দান, গ্রহিতা অনুব্রত, কেষ্টর পদ এবার বাড়াল দলের বিপদ?
অনুব্রত মণ্ডল

Follow Us

কলকাতা: গরু পাচারের টাকা গেল কোথায়? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজে হন্যে হয়ে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেরাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বোলপুর রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে হানা দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ঠিক কত সম্পত্তি, তা বোঝার জন্য ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান সিবিআই আধিকারিকরা। আর এখানেই চণ্ডীদাস, নানুর মৌজার জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। অন্তত তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে দলীয় পদ ব্যবহার করে জমি নেন অনুব্রত মণ্ডল। নানুরে ৮.৫ শতক জমি নিয়েছিলেন অনুব্রত। জমির ডিড নম্বর ০৫০৫৪/ ২০১৫। তাতে উল্লেখ উন্নয়নের জন্য জমি দান করেছে সেই কৃষক পরিবার। ওই পরিবারে ১৭ জন সদস্য ছিলেন। অনুব্রতকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি দান করে ওই পরিবার। সরকারি নথিতেও রয়েছে অনুব্রতর নাম। সেখানে উল্লেখ, অনুব্রতর দলীয় পদেরও।

দলিলের বয়ান অনুযায়ী, দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্যই এই জমি দান করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন দলিলে অনুব্রত মণ্ডল কেন গ্রহীতা? বীরভূম জেলা তৃণমূলের নামে দানপত্র নয় কেন? কেন দলিলে অনুব্রতর দলীয় পদের উল্লেখ রয়েছে? তবে কি প্রভাব খাটিয়ে এই জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া হয়েছিল?

এটা যে দলের সম্পত্তি নয়, তা স্পষ্ট আইনজীবীর কথাতেই। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দেবরাজ দে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলই আসলে গ্রহীতা। এখানে দলের নাম যে অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, তার কোনও মূল্য আইনের চোখে নেই। ওটা দলের সম্পত্তি নয়।”

এক কৃষক পরিবার হঠাৎ কেন এই জমি দান করলেন কেষ্টকে? বীরভূমের রাজনীতিতে উন্নয়ন শব্দের অর্থ কী? তা নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। দলীয় পদ ব্যবহার করে জমি গ্রহণ না অধিগ্রহণ, তা নিয়েই শুরু জল্পনা।

কেন জমি দান করতে গেল কৃষক পরিবার?

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল দলিলে যদি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় লিখে থাকেন, তার মানে আজকের দিনের ঘটনায় ইডি ও সিবিআই আদালতে প্রতি ক্ষণে গিয়ে যা বলছেন, যে ওঁ প্রভাবশালী ছিলেন, ওঁ তা নিজেই প্রমাণ করছেন। তাই সাধারণ দানপত্র যা কিনা ভালবাসা ও স্নেহের বশে হয়, সেখানেও তিনি রাজনৈতিক পরিচয় লিখছেন। ২ লক্ষ টাকার জমি কেনাতেও প্রভাব খাটান, গরু পাচারেও প্রভাব খাটান।”

Next Article