কলকাতা : গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ইতিপূর্বের সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, এনামূল এবং সায়গলের বয়ান মিলে গিয়েছে সিবিআই জেরায়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে টাকা বিষয়ে যে ডিল হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্যও সিবিআই-এর হাতে এসেছিল। সেই সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেরা করছেন অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত টাকার লেনদেনের যে সাপ্লাই চেন-এর হদিশ সিবিআই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু সূত্রের খবর, বেশ কিছু ক্ষেত্রে তিনি এই সাপ্লাই চেন-এর কথা অস্বীকার করেছেন।
সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেন মিডলম্যানের কাজ করত। তার মাধ্যমেই নাকি এনামূল হকের থেকে গরু পাচারের টাকা গিয়ে পৌঁছাত অনুব্রত মণ্ডলের হাতে। এমনই সন্দেহ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, গরুকে বিনা বাধায় বীরভূম করিডর পার করানোর জন্য দিতে হত মোটা অঙ্কের প্রোটেকশন মানি। ত্রৈমাসিক হিসেবে চলত খাতা। তিন মাসের জন্য দিতে হত ৬ কোটি। সেই অনুযায়ী এক বছরের ডিল ২৪ কোটি। এনামূল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাকি এমনই তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। সূত্রের খবর, এনামূল এই টাকা সরাসরি সাইগলের হাতে দিত না। এর জন্য লতিফ নামের এক ব্যক্তিকে ব্যবহার করা হত। সেই এনামূলের টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিবিআই সূত্রে যা খবর, তাতে এই লতিফ নামের ব্যক্তিকে চিনতে অস্বীকার করছেন অনুব্রত মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে সাইগল এবং এনামূল উভয়েই গোয়েন্দাদের কাছে জেরার সময় এই লতিফের কথা উল্লেখ করেছিল। সেই বয়ানও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল না অস্বীকার করছেন। সেই কারণেই আরও জেরা করা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে। এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল