কলকাতা: গত সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি (Delhi) নিয়ে যেতে পারে ইডি (ED)। শুরু হয়ে গিয়েছিল তোড়জোড়। এরইমধ্যে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি। তার আগে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এদিকে এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে আবার তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিশ। সবমিলিয়ে আপাতত এ রাজ্যেই থাকছেন অনুব্রত। এর মাঝেই অনুব্রতের জামিন মামলার শুনানি শুক্রবার। শুক্রবার মামলাটি শুনবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই যে দিল্লির বিষয়ে সেখানে উল্লেখ করবে তা কার্যত স্পষ্ট। এমন আবহে জামিন মেলে কিনা সেটাই দেখার।
আগের শুনানি হয়েছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি বি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে। সেদিনও শুনানি চলাকালীন সময়ে বারবার উঠে আসে অনুব্রতর ‘প্রভাবের’ কথা। সহজ কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলায় কাঁটা তাঁর ‘প্রভাবশালী’ তকমাই। শুধু সাক্ষীরা নয়, বিচারকও হুমকির শিকার! মামলায় অন্য জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট। মন্তব্য করেছিলেন খোদ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। তবে অনুব্রত কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক নন, প্রভাবশালীর কথা আসছে কোথা থেকে? জোরালো সওয়াল করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে তাঁর যুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। মামলা চলাকালীন সময়ে কখনও নিম্ন আদালতের বিচারককে হুমকির অভিযোগ থেকে শুরু করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আরও একাধিক অভিযোগের অবতারণা করেছিলেন বিচারপতি। এখন দেখার শুক্রবারের শুনানিতে ফের এই কথা ওঠে কিনা।
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিন আটকাতে আগে থেকেই কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে সিবিআইও। আগের শুনানিতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। তাঁর সাফ দাবি, বগটুই মামলার সঙ্গে যুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এখানে ‘যড়যন্ত্রের’ গন্ধ পাচ্ছেন তাঁর। তাই এই ব্যক্তির জামিন কোনওভাবে দেওয়া যাবে না। ১৬ তারিখ শেষ শুনানির পর ঘটে গিয়েছে ‘শিবঠাকুর’ কাণ্ড। এই প্রেক্ষাপটে ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে অনুব্রতর জামিন মামলার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাও দেখার।