Suvendu Adhikari: যাদবপুর থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR হবে কি? রায়দান স্থগিত রাখল আদালতে
Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদে গত ১৭ অগস্ট সেখানে প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন শুভেন্দু। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, শুভেন্দুকে সেখানে আক্রমণ করা হয়। সেই ঘটনার পরই যাদবপুর থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চাওয়া হয়।

কলকাতা: যাদবপুর থানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই মামলায় দু পক্ষের বক্তব্য শুনল হাইকোর্ট। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এফআইআর করা যাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর তরফে আইনজীবী দাবি করেন, আসলে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের যুক্তি, এভাবে দিনের পর দিন এফআইআর না করে কাউকে অন্যায় করার লাইসেন্স দেওয়া যায় না।
এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী পাটওয়ালিয়া জানান, রাজ্যের এই এফআইআর করার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী উল্লেখ করেন, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এফআইআর করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে সেই মামলা। ২৩ অগস্ট সেই মামলার শুনানি হয়েছে, ১০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অর্থাৎ আদালতে এখনও চলছে মামলা।
তাই যাদবপুরের ঘটনায় ফের এই আবেদন আদতে ফাঁসানোর চেষ্টা বলে মন্তব্য করা হয়েছে। মূল মামলা যেখানে আদালতে বিচারাধীন, সেখানে এই আবেদনের অর্থ কী, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “বিচারপতি মান্থার নির্দেশ ছিল, এই কোর্টের অনুমতি ছাড়া এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু এই কোর্ট মানে কোন কোর্ট? বিচারপতি মান্থা, নাকি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নাকি প্রধান বিচারপতি?” তাঁর মন্তব্য, “এইভাবে একজনকে লাইসেন্স দেওয়া যায় না। তিনি একের পর এক অন্যায় করবেন আর তার বিরুদ্ধে FIR করা যাবে না।”
যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদে গত ১৭ অগস্ট সেখানে প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন শুভেন্দু। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, শুভেন্দুকে সেখানে আক্রমণ করা হয়, তাঁর গাড়ি আটকানো হয়, তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এদিকে ওই দিনের ঘটনাতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।