
কলকাতা: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে কড়া রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন তিনি। পূর্ব পরিকল্পিত হামলা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ধর্মীয় পরিচয় জেনে রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। রাজ্যের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়লে হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্র, সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল। এলাকায় স্থায়ী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের এই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যপালের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা এবার রেজাল্ট চাই। রাজ্যপাল বলেছেন, আবারও কিছু হলে রাষ্ট্রপতি শাসন করা হোক। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদনের ক্ষেত্রে যে ধরনের নির্দিষ্ট সুপারিশের প্রয়োজন হয়, আমার মনে হয় না এক্ষেত্রে সেটা রয়েছে। তবে রিপোর্টটা স্বাগত করার মতো। রাজ্যপাল গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। এই রিপোর্টকে এককথায় বাংলার শান্তিকামী গণতান্ত্রিক মানুষ স্বাগত জানাতে পারেন।”
অন্যদিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপিকে খুশি করতে আসলে নির্বাচনে জিতে আসা সরকারকে ফেলতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত রাখার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, বিএসএফের। যদি ওপাশ থেকে এপাশে হামলাকারীরা ঢুকে উস্কানি দেয়, হামলা চালায়, দায়িত্ব বিএসএফের। সেটা দেখেন অমিত শাহ। ফলে রাজ্যপালের সুপারিশে থাকা উচিত ছিল, বিএসএফ, যারা নিজেদের দায়িত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার করে নিয়েছে, তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু তার বদলে বিজেপিকে খুশি করার মতো ইঙ্গিতপূর্ণ কলুষিত করা হয়েছে। এটা একটা রাজনৈতিক পত্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা।”