কলকাতা: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট (Kokata Municipality Election 2021)। আর তার সাতদিন আগে উদ্ধার হল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ দুষ্কৃতীকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর কলকাতার ( North Kolkata) সিঁথি (Sinthi) এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দুই যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে দেশি বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। সিঁথির রামলীলা এলাকার ঘটনা। দুই যুবককে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তারা কাউকে এই আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে ধৃতদে র পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হবে বলে খবর।
পুরভোটের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, প্রাতমিক তদন্তে উঠে এসেছে আগ্নেয়াস্ত ও কার্তুজ বিক্রির উদ্দেশ্যেই এনেছিল দুই ধৃত। কিন্তু কাদের কাছে সেগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, ক্রেতা ঠিক কারা, কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আরও তথ্যের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। তাছাড়া কোথা থেকে এই দুই ধৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটের আবহে শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলায় অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) হদিশ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকার শরৎ সর্দারের বাড়িতে এই অস্ত্র কারখানায় চলছিল অস্ত্র তৈরির কাজ। তার পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে অভিযান চালিয়ে জনৈক তারক কর্মকার কে গ্রেফতার করা হয়। জানাা যায়, ভাঙড়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি অস্ত্র তৈরির কারিগর। কারখানার মালিক-সহ বাকিরা পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স চক্রের পর্দাফাঁস করেছে সিআইডি। বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত-সহ ৬ জন। ধৃতদের থেকে উদ্ধার ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং ৫টি জাল লাইসেন্স। বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন সরকারি দফতরের নামে করা জাল স্ট্যাম্প, সিল। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি সিকিওরিটি এজেন্সির সঙ্গে ধৃতরা যুক্ত বলে জানা যায়।
এদিকে পুরসভার ভোটে তৃণমূলের প্রচারের অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায় বেহালার জেমস লং সরণির ২৯ পল্লির কাছে ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল নেতা কর্মীরা ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর প্রচারের বেরিয়েছিলেন। ২৯ নম্বর পল্লির কাছে অটো নিয়ে ড্রাইভার দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় একজন গিয়ে তাঁকে সজোকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন।