Mamata Banerjee: কপ্টারের জরুরি অবতরণের পর এক ঘণ্টা এয়ারবেসে ছিলেন মমতা, সেইসময় কী হয়েছিল জানাল সেনা
Mamata Banerjee: সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু তিওয়ারি বলেন, "অবতরণের পর ওখানে ১ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চা-ও খান। তবে কোনও সমস্যা হচ্ছিল কি না, তখন বোঝা যায়নি।"

কলকাতা: আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সেবক এয়ারবেসে অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। এরপর ঘণ্টাখানেক এয়ারবেসেই ছিলেন তিনি। একজায়গায় বসে চা খান, সবার সঙ্গে কথা বলেন। পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের দিকে যান মমতা। এমনই জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের পক্ষ থেকে। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আঘাতের কথা তাঁরা জানতেন না। ইস্টার্ন কমান্ডের তরফ থেকে দুটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, রক্ষীদের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইস্টার্ন কমান্ডের বিবৃতিতে ঠিক কী বলা হয়েছে?
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও তিনজন যাত্রী সহ হেলিকপ্টার অবতরণ করে দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেবক রোড আর্মি অ্যাভিয়েশন বেসে নামে বিমানটি। মুখ্যমন্ত্রীকে ওয়েটিং এরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে চা দেওয়া হয়। ২ টো ২৩ মিনিটে বাগডোগরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু তিওয়ারি বলেন, “অবতরণের পর ওখানে ১ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চা-ও খান। তবে কোনও সমস্যা হচ্ছিল কি না, তখন বোঝা যায়নি। হাঁটছিলেন স্বাভাবিকভাবে। আমাদের কিছু বলেননি। হয়ত চোট লেগেছিল বা ব্যথাও হচ্ছিল, কিন্তু উনি কিছু বলেননি।’
বিকেল ৫ টা ৯ মিনিটে এসএসকেএমে পৌঁছন মমতা। প্রথমে হুইল চেয়ারে উঠতে চাননি তিনি। উডবার্নের দোতলার সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন থেকে একতলার এমআরআই-এর ঘরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হুইল চেয়ারে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
