Arpita Ghosh: আচমকা ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন অর্পিতা

Arpita Ghosh: গত বুধবারই সাংসদ পদে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা।

Arpita Ghosh: আচমকা ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন অর্পিতা
তৃণমূলে নতুন পদ পেলেন অর্পিতা ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 2:54 PM

কলকাতা: সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পরই অর্পিতা ঘোষকে নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। যদিও অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh) নিজেই জানিয়েছিলেন যে সাংসদ পদ ছেড়ে সাংগঠনিক কাজ করতে চান তিনি। তাঁর ইস্তফার দু’দিন পরই তাঁকে নতুন পদ দেওয়া হল তৃণমূলে (TMC)। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলেন অর্পিতা ঘোষ। অর্পিতাকে সাংসদ পদ থেকে সরতে বলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও অর্পিতা দাবি করেছিলেন, তিনি নিজেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সাংসদ পদ ছাড়ার আর্জি জানিয়েছিলেন।

গত বুধবার রজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। দলবদল নাকি অন্য কোনও কারণ? রাজনৈতিক মহলে ঘুরে ফিরে আসছিল এই সব প্রশ্ন। বৃহস্পতিবারই ইস্তফা দেওয়ার কারণ নিয়ে মুখ খোলেন অর্পিতা। কিন্তু তিনি সাফ জানান, আপাতত সংগঠনেই মন দিতে চান। দিল্লিতে থেকে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দলের তরফ থেকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

গতকাল অর্পিতা বলেন, ‘আমি সংগঠনের কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি লোকসভায় থেকেছি, দল আমাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ে আমি সংগঠনে থেকে দলের জন্য বেশি কাজ করতে পারব। সেটাই আমি দলকে জানিয়েছিলাম।’ এই বিষয়ে তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও লেখেন। সেটা গ্রহণ করার পরই সরকারিভাবে ইস্তফা দেন অর্পিতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের কাজ করতে চান বলে জানান তিনি। বলেন, ‘২০২৪ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার মনে হয়েছে সংগঠনের হয়ে কাজ করাটাই বেশি জরুরি।’

আরও পড়ুন: Mystery Fever: অজানা জ্বরে বাড়ছে মৃত্যু, একধাক্কায় শিশুদের ICU-র বেড বাড়ল রাজ্যে

বুধবার অর্পিতা ঘোষ সাংসদ পদে ইস্তফা দেন। তখন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ তিনি করেছেন। যদিও এ দিন সেই জল্পনা হেসেই উড়িয়ে দেন অর্পিতা। তিনি বলেছিলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে এই ব্যাপারে কোনও কথাই বললেননি। এটা পুরোপুরি আমার সিদ্ধান্ত। আমার নাটকটা অনেকদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছিল, সেটা আমি মন দিয়ে করতে চাইছি। পাশাপাশি সংগঠনের কাজটা করেও আমি আনন্দ পাই। তাই আমি সেটা দলকে জানিয়েছিলাম।’

অর্পিতার এই সিদ্ধান্তের পিছনে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেছিলেন, অন্য রাজ্য থেকে নতুন লোক আনা হচ্ছে। সে কারণেই অর্পিতাকে সরতে হল।

আরও পড়ুন: শিশুদের জ্বর নিয়ে পরামর্শ রাজ্যপালের! পাল্টা ফিরহাদ বললেন, ‘উত্তর প্রদেশে গিয়ে এসব উপদেশ দিন’