AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mystery Fever: অজানা জ্বরে বাড়ছে মৃত্যু, একধাক্কায় শিশুদের ICU-র বেড বাড়ল রাজ্যে

Mystery Fever: জেলায় জেলায় বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

Mystery Fever: অজানা জ্বরে বাড়ছে মৃত্যু, একধাক্কায় শিশুদের ICU-র বেড বাড়ল রাজ্যে
জেলায় জেলায় ভয় ধরাচ্ছে অজানা জ্বর, (প্রতীকী ছবি)
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 2:15 PM
Share

কলকাতা: অজানা জ্বর নিয়ে এ বার তৎপর হল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। জেলায় জেলায় বাড়ানো হল শিশুদের আইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (PICU) বেডের সংখ্যা। একধাক্কায় সেই সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯ করা হল। আজ, শুক্রবার সেই নির্দেশিকা জারি করা হল স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এ ছাড়া এস‌এসকেএম, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে নিউবর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকুর (NICU) বেডের সংখ্যাও। এত দিন পর্যন্ত রাজ্যের ২১ টি হাসপাতালে পিকুর সংখ্যা ছিল ২৪৪ টি। স্বাস্থ্য দফতের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাড়ানো হচ্ছে আরও ২৪৪ টি বেড। অর্থাৎ মোট বেডের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৭৯। জেলায় জেলায় অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ৮ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তারপরই এই তৎপরতা দেখা গেল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম, নেগেটিভ প্রেসার ভেন্টিলেশন ও কিছু মেরামতির কাজের জন্য টাকা দেওয়া হবে হাসপাতালগুলিকে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে,  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধীনে কয়েকটি হাসপাতাল রাখা হয়। এই সব হাসাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে ওই হাসপাতালগুলিতে পাঠাতে হবে চিকিৎসার জন্য।

উল্লেখ্য, মালদা মেডিক্যাল কলেজেই শিশু মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ওই হাসপাতালে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মোট ১৬৪ জন শিশু ভর্তি রয়েছে এখানে। যদিও বেডের সংখ্যা ১২০। ফলে একই বেডে একাধিক শিশুকে রাখতেই হচ্ছে। অর্থাৎ এ কথা স্পষ্ট, যত দিন এগোবে বেডের অভাব একটা বড় সঙ্কট হয়ে উঠবে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান সুষমা সাহু বৃহস্পতিবারই স্বীকার করেছিলেন যে বেড কম থাকায় একই বেডে একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। মালদা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের দাবি, নিউমোনিয়া ও মিস-সি এই মৃত্যুর কারণ। সকলেরই উপসর্গ একই ছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

উত্তরবঙ্গের জেলা জলপাইগুড়ি থেকে অজানা জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই বাকি জেলাগুলিতেও ছড়াতে শুরু করেছে জ্বর। শুধু উত্তরেই নয়, দক্ষিণবঙ্গেও এখন পরিস্থিতি উদ্বেগের। বেশ কিছু হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক হাসপাতালের মেঝেতে শুইয়ে রাখতে হচ্ছে শিশুদের বলে অভিযোগ উঠছে। জলপাইগুড়ির পর শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মালদা ছাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও ছড়িয়েছে সেই জ্বর।

আরও পড়ুন: বিপদে ভাসছে উত্তরবঙ্গ! আজও দুই শিশুর মৃত্যু মালদহ মেডিক্যালে, জ্বরে এখনও অবধি মৃত ৯