
কলকাতা: আয়োজককে গ্রেফতার করার পক্ষে সওয়াল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। পাশাপাশি, দর্শকদের সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ছবি যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমনটা ঠিক হল না। অভিযোগ উঠল, দেখা যায়নি মেসিকে, দেখা মেলেনি লুইস সুয়ারেজ়ের। রদ্রিগো ডি’পল তো কোন দূরে। কাজ করেনি জায়ান্ট স্ক্রিনও। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা।
এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আয়োজকদের দ্রুত গ্রেফতার করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘আয়োজককে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। যারা কষ্টের উপার্জন দিয়ে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টাকাও ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের যে ক্ষতি হল, সেটির ক্ষতিপূরণও দিতে হবে আয়োজক সংস্থাকে।’
মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলার নেপথ্যে ‘অব্য়বস্থাকেই’ দায়ী করেছেন রাজ্যপাল বোস। তাঁর কথায়, ‘কোনও রকম পূর্বপরিকল্পনা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ছিল না। আয়োজকরা গোটা অনুষ্ঠানের উপর নজরদারি চালায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছতে পারলেন না। এই ঘটনা পুলিশের দায়বদ্ধতাও রয়েছে।’
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কাদের দায়? জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মেসির সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে গিয়ে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় সেখানে পৌঁছতে পারেননি তিনি। ঘুরিয়ে নেন নিজের কনভয়ের অভিমুখ। তারপরেই এল তদন্তের নির্দেশ।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ঘটনায় বাংলার ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক স্তরে নষ্ট হলে। এই দাগ মুছে ফেলার নয়। ইঙ্গিতে যেন সেটা মেনেও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন তারকা ফুটবলার মেসি এবং আগত ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য লিওনেল মেসি-সহ সকল ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর অনুরাগীদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’