কলকাতা : বাজার করবেন বলে বাড়ি থেকে বেরনোর ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় ছাত্রীর মৃতদেহ। ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় আসানসোলের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আসানসোলে। সেই ঘটনাতেই এবার তদন্তভার দেওয়া হল সিআইডি-কে। শুক্রবারই রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তভার দিয়েছে রাজ্য। প্রতিহিংসার জেরে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতার বাবা। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও অনেক তথ্য প্রণয়ঘটিত কারণেও খুন করা হয়ে থাকতে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার আদিবাসী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় আসানসোলে। জানা যায়, বাড়ি থেকে বাজার করার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরেননি ওই ছাত্র। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির অদূরে রাস্তার ধার থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়।
আসানসোলের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রী বাড়ি থেকেই কলেজে যাতায়াত করতেন। তাঁর বাবার বয়ান অনুযায়ী, ২৭ মার্চ অর্থাৎ গত সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার নাম করে বের হন ওই ছাত্রী। বাজারে নাকি মাঝেমধ্যেই যেতেন তিনি। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় হীরাপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, প্রণয়ঘটিত কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই ঘটনায় এক তরুণী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকই এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণীই ছাত্রীকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনেছিলেন। বান্ধবীর কথায় রাজিও হয়ে যান ছাত্রী। তারপর বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়ার নাম করে বের হন। বাড়ির অদূরে একটি এলাকায় পৌঁছে যান ছাত্রী। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই দুই যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।