Assam CM: ‘ঔরঙ্গজেব শেষ হয়ে গিয়েছেন, হিন্দু হয়নি’, মমতা-রাহুলকেও টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী, জবাব দিলেন কুণাল
Assam CM: হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, "হিন্দু ধর্মকে শেষ করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। যা করতে পারেন, সবকিছু করেছিলেন। কিন্তু, কালের নিয়মে তিনি শেষ হয়ে গিয়েছেন। হিন্দু ধর্ম শেষ হয়নি।"

কলকাতা: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর বছরখানেক বাকি। বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ছাব্বিশের নির্বাচনে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে ভোট ময়দানে নামছে তারা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের প্রসঙ্গ টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নাম নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, যদি তাঁরা ভাবেন যে হিন্দু ধর্ম শেষ হয়ে যাবে, তা হবে না। হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল।
কলকাতায় ওই অনুষ্ঠানে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “হিন্দু ধর্মকে শেষ করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। যা করতে পারেন, সবকিছু করেছিলেন। কিন্তু, কালের নিয়মে তিনি শেষ হয়ে গিয়েছেন। হিন্দু ধর্ম শেষ হয়নি।” এরপরই মমতা ও রাহুলের নাম নিয়ে তিনি বলেন, “আর এখন যদি রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবেন যে হিন্দু শেষ হয়ে যাবে, তা হবে না। আপনারা চলে যাবেন। হিন্দু শেষ হবে না। হিন্দু শেষ হতেই পারে না।”
এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “আমাদের ইতিহাস ৫০০০ বছরের পুরনো। ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে থাকবে। কখনও বাংলায় তৃণমূল আসবে। কখনও দেশে কংগ্রেস আসবে। কিন্তু, দেশে নরেন্দ্র মোদীও আসবেন। ”
এই খবরটিও পড়ুন




অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “অর্থহীন কথা বলছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দলই হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এসব করে। এটা বাংলা। এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান-সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক। পুরো বাংলা তাঁকে সমর্থন করে কারণ এখানে উন্নয়ন প্রকল্প কোনও ধর্মের নামে হয় না।” দুর্গাপুজো আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকারের সহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বিজেপি কবে হিন্দুদের ঠেকা নিয়ে বসে আছে, সেটা আমরা জানি না। হিন্দুদের কোনও দল হয় না। হিন্দুদের জন্য আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দল হয় না। ধর্মের জন্য কোনও রাজনৈতিক দল হয় না। আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বলতে হবে অসমের জন্য কী করেছেন। আগে বিশ্বশর্মা বাংলার মানুষকে বলুন, অসমে এনআরসি চালু করার পর যাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়েছেন, তাদের কী করেছেন? কতজনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন? একজনকেও কি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন?” বিজেপি ভোটের রাজনীতির জন্য এসব করে বলে দাবি করেন অধীর।





