বিধানসভায় শূন্য হয়েও নওশাদের বক্তব্যে ভেসে উঠল বামেরা, বক্তা হিসাবে নজর কাড়লেন জুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 06, 2021 | 6:29 PM

Assembly: আগাগোড়া ইংরাজিতেই ভাষণ দেন তিনি। তবে বক্তব্য শেষ করেন 'জয় বাংলা' উচ্চারণে।

বিধানসভায় শূন্য হয়েও নওশাদের বক্তব্যে ভেসে উঠল বামেরা, বক্তা হিসাবে নজর কাড়লেন জুন
নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে বক্তা হিসাবে নজরকাড়া অভিষেক দু’জনের। প্রথমজন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া। দ্বিতীয় জন ভাঙড়ের সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মঙ্গলবার বিধানসভা কক্ষে দাঁড়িয়ে জুন মালিয়া মূলত বক্তব্য রাখেন সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, নিজশ্রী ও দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে। অন্যদিকে নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্যে উঠে আসে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে নওশাদ বুঝিয়ে দেন, এখানে তিনি শুধু আইএসএফের প্রতিনিধিই নন, সংযুক্ত মোর্চারও একমাত্র মুখ। ভোটে একটিও আসন না পাওয়া বামেদের অস্তিত্বের জানান দেন নওশাদই।

জুন মালিয়ার বাগ্মিতায় প্রথম থেকেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। এদিন জুনই একমাত্র তারকা বিধায়ক ছিলেন যিনি রাজ্যপালের জবাবি ভাষণ পর্বে অংশ নেন। রাজনীতিতে নতুন হলেও তাঁর বক্তব্যের গভীরতায় হাততালিতে ফেটে পড়ে অধিবেশন কক্ষ। জুন মালিয়া তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন, স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রাধিকারের প্রসঙ্গ। কারণ, তার কিছু আগেই বলতে উঠে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী দাবি করেন, এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের সরকার চলছে, কাটমানির সরকার চলছে। সুবিধা পেতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে টাকা দিতে হয় বলে দাবি করেন মিহির। জুন তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন, কী ভাবে তৃণমূল সরকার মেয়েদের পাশে দাঁড়ায়। কী ভাবে দুয়ারে সরকারের হাত ধরে মানুষ সুবিধা পান বাংলায়। স্বামী বিবেকানন্দকে উদ্ধৃত করে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক। আগাগোড়া ইংরাজিতেই ভাষণ দিলেও বক্তব্য শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণে।

অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্যে উঠে আসে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নওশাদ সেই বিধায়ক যিনি ওই কক্ষে কোনও দলের একমাত্র প্রতিনিধি। একদিকে প্রথমবার সকলের সামনে বলতে ওঠা, অন্যদিকে দলীয় কোনও সদস্যের উপস্থিতি নেই! সেই জায়গা থেকে নওশাদের আত্মবিশ্বাসী বক্তৃতা বেশ গোছানো। বক্তব্যের জন্য তাঁর বরাদ্দ ছিল ৫ মিনিট। তবে তা তিনি সাড়ে ৬ মিনিটে নিয়ে যান।

মূলত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, বিরোধীদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভাঙড়, ক্যানিংয়ে। তিনি নিজেও ভাঙড় থানার সামনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন। সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান নওশাদ। ভ্যাকসিন দুর্নীতি থেকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এদিন মুখর ছিলেন নওশাদ।

এ বছর বামেরা একটি আসনও জেতেনি। কংগ্রেসেরও একই হাল। বিধানসভায় তাদের একমাত্র মুখ ভোটের মুখে ‘জুড়ে বসা’ আইএসএফের নওশাদই। তবে নওশাদ কিন্তু বামেদের অস্তিত্ব এদিনও জানান দেন বিধানসভায়। তুলে ধরেন রেড ভলান্টিয়ার প্রসঙ্গ। বলেন, “রেড ভলান্টিয়াররা বিশ্বে প্রশংসিত। অথচ এখানে সরকার তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না।”

Next Article