কলকাতা: পরিষদীয় বৈঠকে বিধায়কদের সতর্ক করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বিধায়কদের বলা হয়েছে, কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হবে। অন্য আমন্ত্রিত কারা তা-ও জানতে হবে। দেবাঞ্জন দেব ও ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের জেরেই এই বাড়তি সতর্কতা বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এদিন বিরোধী বিজেপিকে নিয়েও সাবধান করা হয়েছে বলে খবর। সোমবার ছিল তৃণমূলের পরিষদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানেই নতুন বিধায়কদের নানা বিষয়ে বার্তা দেন দলের দুঁদে নেতারা।
চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্য রাখার সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভা কক্ষের ভিতরে। বিজেপির বিধায়করা যে পরিস্থিতি তৈরি করেন, সংসদীয় রাজনীতিতে তা নিঃসন্দেহে প্রশ্নের অবকাশ রাখে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। সেদিন রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্য মাঝপথেই ছেড়ে বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, সোমবার পরিষদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিরা স্পষ্ট বার্তা দেন, দলের কোনও বিধায়ক যেন এ ধরনের আচরণে জড়িয়ে না পড়েন। একইসঙ্গে নব নির্বাচিত বিধায়কদের জানানো হয়েছে, বিরোধীরা যে পরিস্থিতিই তৈরি করুক না কেন, কাজ বের করে আনতে হবে সবকিছুর মধ্যে থেকেই। রোজকার কর্মসূচিও তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবারও তৃণমূলের ২১ জুলাই পালন ভার্চুয়ালি
এদিন সকাল থেকেই তারকাখচিত ছিল বিধানসভা। রাজ চক্রবর্তী, লাভলি মৈত্র, জুন মালিয়া, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সি এক ঝাঁক সেলেব বিধায়ক এবার তৃণমূলে। রাজনীতিতেও কম বেশি সকলেই নবিশ। সূত্রের খবর, প্রত্যেককে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বিধায়করা যেন যখন তখন দলের অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলেন। বরং বেশি সময় লাইব্রেরিতে দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। যেহেতু বিধানসভা একটা গভীর আইনি জটিলতার জায়গা, তাই তার নিয়মকানুনও নখদর্পণে না থাকলে সমস্যা হতে পারে। তাই পড়াশোনা বাড়ানো দরকার। তবে সর্বাগ্রে দলের নির্দেশ বিধানসভায় ১০০ শতাংশ হাজিরা রাখতে হবে জননেতাদের।