Aliah University : আলিয়ার উপাচার্যকে হেনস্থা পূর্বপরিকল্পিত? ভাইরাল অডিয়োয় নাম জড়াল দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 04, 2022 | 4:28 PM

Aliah University: অভিযোগ উঠছে, যা ঘটেছে, তা হতই না, যদি না বাইরে থেকে ইন্ধন থাকত। বড় বড় তাবড় নেতারা জড়িত, নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে উপাচার্যকে হেনস্থা কিংবা মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার মতো সাহস কারও হত না। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ।

Follow Us

কলকাতা : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aliah University) কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। জট ক্রমেই আরও গভীর হচ্ছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, যা ঘটেছে, তা হতই না, যদি না বাইরে থেকে ইন্ধন থাকত। বড় বড় তাবড় নেতারা জড়িত, নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে উপাচার্যকে হেনস্থা কিংবা মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার মতো সাহস কারও হত না। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়ারা একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের কথা বলছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপটিতে যে দুইজনের গলা আছে, তারা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র জুয়েল রানা ও সাহেব সিদ্দিকী। পড়ুয়াদের বক্তব্য, তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী হিসেবেই পরিচিত এলাকায়।

ভাইরাল ওই অডিয়ো ক্লিপটিতে শোনা যাচ্ছে, একজন অন্যকে বলছে “গোলাম রব্বানি এবং ববি দা পুরোপুরি বলে দিয়েছেন। আমাকে এক সপ্তাহের মতো সময় দিয়েছিল। বলেছেন, তুমি বেরিয়ে যাও, নতুন উপাচার্য আসবে, তোমাকে বলে দিলাম আজকে। কে আসবে সেটাও জানি, ওটা কোনও ব্যাপার না। ও সায়নী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। ও মেয়াদটা বাড়াতে চাইছে। কিন্তু ওকে ডেট দিয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওকে বের হতেই হবে। কিন্তু ওকে অপমান করে তাড়াতে বলছে। সেটা পারবে কি?” এরপর অন্য জন প্রশ্ন করেন, “সেটা কি নেতৃত্ব বলছে?” উত্তরে প্রথম জন বলছে, “একদম। কিন্তু সেটা তুমি আর আমি জানব জাস্ট।” দ্বিতীয় জনের প্রশ্ন, “সেটার প্রমাণ আছে তো? না কি পরে উল্টে যাবে যে আমরা বলিনি ওরা নিজের মতো করেছে?” এতে প্রথম জনের উত্তর, “নাদিমূল সাহেব আমার সামনে বসেই ফোন করলেন।” যদিও এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আলিয়ার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত? বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ এই নেতাদের হাত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের মাথায় ছিল বলেই তার এত বাড়বাড়ন্ত। সেই কারণেই, সে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে এভাবে গালিগালাজ করার সাহস পেয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এতে ইন্ধন রয়েছে জিম নওয়াজের।

যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ তারা চরিতার্থ করতে পারেনি। তারা চেষ্টা করেছিল, তাদের মতো করে গুণ্ডামি, নষ্টামি করার। তারা সে সব পারেনি। করতে পারেনি। সরকার তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের তো জাস্টিফাই করতে হবে। সেই কারণেই এই স্টেপগুলো নিচ্ছে।”

এদিকে ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান নাদিমূল হক, “বলেন, আমি একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্র করব? আর কোন অডিয়ো ? যদি আমার নাম নিয়ে তুমি একটা অডিয়ো করে পাঠিয়ে দাও, তাহলে আমার করার কিছু আছে? আমি কি জানতাম? আমার শব্দ আছে কি অডিয়োতে?”

ফিরহাদ হাকিম আলিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখানে পরপর এমন এমন ঘটনা ঘটছে, যেহেতু আমিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ, আমারই মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জিম নওয়াজ আমার অভিভাবক নয়। সে তার কাজ করছে, আমি আমার কাজ করছি। আমি তো বলেছি, তার সঙ্গে আমার জানাশোনা আছে। আমার সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জানাশোনা। অনেক সঙ্গে কথা হয়। যেটা হয়েছে, তা অন্যায়।”

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে প্রাথমিক রিপোর্ট

দেখুন ভিডিয়ো :

কলকাতা : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aliah University) কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। জট ক্রমেই আরও গভীর হচ্ছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, যা ঘটেছে, তা হতই না, যদি না বাইরে থেকে ইন্ধন থাকত। বড় বড় তাবড় নেতারা জড়িত, নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে উপাচার্যকে হেনস্থা কিংবা মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার মতো সাহস কারও হত না। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়ারা একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের কথা বলছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপটিতে যে দুইজনের গলা আছে, তারা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র জুয়েল রানা ও সাহেব সিদ্দিকী। পড়ুয়াদের বক্তব্য, তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী হিসেবেই পরিচিত এলাকায়।

ভাইরাল ওই অডিয়ো ক্লিপটিতে শোনা যাচ্ছে, একজন অন্যকে বলছে “গোলাম রব্বানি এবং ববি দা পুরোপুরি বলে দিয়েছেন। আমাকে এক সপ্তাহের মতো সময় দিয়েছিল। বলেছেন, তুমি বেরিয়ে যাও, নতুন উপাচার্য আসবে, তোমাকে বলে দিলাম আজকে। কে আসবে সেটাও জানি, ওটা কোনও ব্যাপার না। ও সায়নী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। ও মেয়াদটা বাড়াতে চাইছে। কিন্তু ওকে ডেট দিয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওকে বের হতেই হবে। কিন্তু ওকে অপমান করে তাড়াতে বলছে। সেটা পারবে কি?” এরপর অন্য জন প্রশ্ন করেন, “সেটা কি নেতৃত্ব বলছে?” উত্তরে প্রথম জন বলছে, “একদম। কিন্তু সেটা তুমি আর আমি জানব জাস্ট।” দ্বিতীয় জনের প্রশ্ন, “সেটার প্রমাণ আছে তো? না কি পরে উল্টে যাবে যে আমরা বলিনি ওরা নিজের মতো করেছে?” এতে প্রথম জনের উত্তর, “নাদিমূল সাহেব আমার সামনে বসেই ফোন করলেন।” যদিও এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আলিয়ার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত? বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ এই নেতাদের হাত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের মাথায় ছিল বলেই তার এত বাড়বাড়ন্ত। সেই কারণেই, সে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে এভাবে গালিগালাজ করার সাহস পেয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এতে ইন্ধন রয়েছে জিম নওয়াজের।

যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ তারা চরিতার্থ করতে পারেনি। তারা চেষ্টা করেছিল, তাদের মতো করে গুণ্ডামি, নষ্টামি করার। তারা সে সব পারেনি। করতে পারেনি। সরকার তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের তো জাস্টিফাই করতে হবে। সেই কারণেই এই স্টেপগুলো নিচ্ছে।”

এদিকে ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান নাদিমূল হক, “বলেন, আমি একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্র করব? আর কোন অডিয়ো ? যদি আমার নাম নিয়ে তুমি একটা অডিয়ো করে পাঠিয়ে দাও, তাহলে আমার করার কিছু আছে? আমি কি জানতাম? আমার শব্দ আছে কি অডিয়োতে?”

ফিরহাদ হাকিম আলিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখানে পরপর এমন এমন ঘটনা ঘটছে, যেহেতু আমিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ, আমারই মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জিম নওয়াজ আমার অভিভাবক নয়। সে তার কাজ করছে, আমি আমার কাজ করছি। আমি তো বলেছি, তার সঙ্গে আমার জানাশোনা আছে। আমার সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জানাশোনা। অনেক সঙ্গে কথা হয়। যেটা হয়েছে, তা অন্যায়।”

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে প্রাথমিক রিপোর্ট

দেখুন ভিডিয়ো :

Next Article