কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারকে (Avijit Sarkar) খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সেই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ওই মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এবার খোদ সিবিআই-এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন সেই অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তাঁর দাবি, পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দারের নাম পুলিশের চার্জশিটে থাকলেও সিবিআই-এর চার্জশিটে সেই নাম রাখা হয়নি। বিশ্বজিৎ সরকার বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, কেন এদের তলব করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সিবিআই-কে ওই মামলার নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই- এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আবেদন করেছেন বিশ্বজিৎ সরকার। অভিজিৎ সরকার খুনে মূল অভিযুক্তরা অধরাই থেকে যাচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ তাঁর দাদার। বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, তিনি নিজে একাধিকবার বিধায়ক পরেশ পাল ও আর এক তৃণমূল নেতা স্বপন সমাদ্দারের নাম বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকদের। গোপন জবানবন্দিতেও সে কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মাও ওই দুজনের নাম বলেছিলেন। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, দুই তৃণমূল নেতাকে কেন তলব করা হচ্ছে না?
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দীর্ঘদিন সৎকার করা হয়নি। ঘটনার ১৩৬ দিন পর দেহ সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।
সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপনে বয়ান দিয়েছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। তাঁর বয়ানে আরও কয়েকটি নাম উঠে আসে। কিন্তু, সেই অভিযুক্তদেরও খোঁজ মেলেনি। সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : Municipality Elections 2022: ‘প্রাণনাশের হুমকি’, নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি প্রার্থীরা
আরও পড়ুন : Kolkata Govt Hospitals: সন্তানের মুখ দেখতে ৩০০, ওয়ার্ডে যেতে ১৫০, সরকারি হাসপাতালে তোলাবাজি চরমে