কলকাতা: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে শুরু করে সিনেমা প্রযোজনা, কোথায় দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে পুরোদমে। এবার এনফোর্সমেন্টের ডিরেক্টরেটের আতস কাচের নিচে সেই অয়ন শীলের লকার। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত অয়ন শীলের বেশ কয়েকটি লকার রয়েছে। অয়ন শীল ও তাঁর স্ত্রী কাকলি শীলের নামে সেই সব লকার রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লকার সম্পর্কে জানতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ইডি আধিকারিকেরা।
অয়ন গ্রেফতারের তাঁর সেই লকার ব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে তৎপর ইডি। ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ব্যাঙ্ক লকারে কী এমন আছে? সেখান থেকে কোনও সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই লকার সম্পর্কিত তথ্য চেয়েই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব ছিল অয়ন শীলের সংস্থার হাতে। আর সেই সব নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন আদালতে দাবি করেছে ইডি। ইডি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হালিশহর, পানিহাটি, কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে অয়নের হাত ধরে। চাকরি দিয়ে অয়ন শীল ৫০ কোটির ওপর সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত জেরা চলছে তাঁর। মূলত নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অয়ন শীল।