কলকাতা : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। পরপর দুবার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে সরানোর পরই তাল কাটে। রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলে দল ছাড়েন তিনি। মাস কয়েক পর যোগ দেন তৃণমূলে। মাঝে প্রায় বছর খানেক সময় পেরিয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন সেই বাবুল।
বুধবার রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘বাঙালির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল।’ ২০২১-এর জুলাই মাসে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছিল। এ দিন রাজভবনে দাঁড়িয়ে সে কথাই মনে করলেন বাবুল। তাঁর দাবি, সে দিন বাঙালির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। একসময় নির্বাচনের ময়দানে গাড়িও ভাঙা হয়েছে বাবুলের। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই এ দিন বাবুল বলেন, ‘অনেক কিছুই ভাঙে, আবার গড়ে। তবে সে দিন (মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার দিন) আমার পুরো পরিবারের মন ভেঙে গিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি, কোনও দুর্নীতির দাগ ছাড়াই।’
২০১৪ সালে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই শুরু রাজনৈতিক জীবন। তারপর থেকেই ক্রমাগত উত্থান। আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। মোদীর মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন ও আবাসন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৬-তে ভারী শিল্প ও জন উদ্যোগ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ২০১৯-এও বিপুল ভোটে জয়ী হন বাবুল। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন ছিল তাঁর প্রতিপক্ষ। এরপর ২০২১ সালে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে টলিগঞ্জের প্রার্থী হন তিনি। পরাজিত হন সেই কেন্দ্র থেকে। আর তার মাস কয়েক পরই কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত হন তিনি। পরে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাস কয়েক পরই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে দেখা যায় তাঁকে।