কলকাতা: বাংলায় ক্রিকেট খেলতে এসে ‘হানিট্রাপের’ শিকার দিল্লির ক্রিকেটার। ক্রিকেটারের ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর, চলতি মাসের ২ তারিখে দিল্লির ক্রিকেটার অভিযোগ করেন বাগুইআটি থানায়। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, একটি ডেটিং সাইট আলাপ হয় এক জনের। ফোন করেন। বেশ কিছুদিন কথাও চলে। তারপরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
এরপর বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত তিন জনকে সোমবার বারাসাত আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের নাম শুভঙ্কর বিশ্বাস, ঋষভ চন্দ্র, শিবা সিংহ। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করবে বাগুইআটি থানার পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, দিল্লির হয়ে ক্রিকেট খেলতে অক্টোবরের ২৯ তারিখ বাংলায় এসেছিলেন ওই ক্রিকেটার। সল্টলেকের একটি অভিজাত হোটেলে ওঠেন তিনি। এরপর তিনি চলতি মাসের ১ তারিখ বাগুইআটির ৪৪ নং বাসস্ট্যান্ডে এলে, তাঁকে চার জন যুবক একটি জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে ওই ক্রিকেটারকে কয়েকজন যুবতীর ছবি দেখান। ক্রিকেটার এক জনকে পছন্দ করলে, তাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেন। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। এবং তাঁর কাছ থেকে অনলাইনে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সঙ্গে থাকা দামী মোবাইল ফোন ও চেনও ছিনতাই করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপর ওই ক্রিকেটারকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে তাঁকে বাগুইআটির জগৎপুর এলাকায় এনে ছেড়ে দেন।
এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ক্রিকেটার। এই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার বাগুইআটি ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু ক্রিকেটার নন, ধৃতরা আরও অনেককে এইভাবে ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।তবে পুলিশ এই ঘটনায় বিশেষ কিছুই বলতে চায়নি। কারণ এখনও মূল অভিযুক্ত পলাতক। তদন্তের স্বার্থে তাই এখনই কিছু বলেনি পুলিশ।