উডবার্নে ‘অনশনে’ শোভন, ষড়যন্ত্র করে আটকে রাখা হচ্ছে, বিস্ফোরক দাবি বৈশাখীর
শোভনের কেবিন থেকে বেরিয়ে বৈশাখী প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কার অঙ্গুলিহেলনে শোভনকে আটকে রাখা হচ্ছে? ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
কলকাতা: চিকিৎসকরা কিছুতেই চাইছেন না। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আজকেই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন নিজেও রিস্ক বন্ডে সই করে বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন বলে খবর। যদিও প্রাক্তন মেয়রের বাড়ি ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সায় নেই তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের। এই অবস্থায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও। কারণ সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের মতামত জানতে চেয়ে একটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে শোভনের কেবিন থেকে বেরিয়ে এসএসকেএম-এর এমএসভিপি-র অফিসে যান বৈশাখী। যেনতেন প্রকারে আজকেই শোভনকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। শোভন নিজেও বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে অনড়। যদিও মেডিক্যাল বোর্ডের মত, আরও কয়েকদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। কিন্তু বাড়ি যাওয়া নিয়ে যুগল অনড় থাকায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারকে একটি চিঠি দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এই চিঠি চালাচালির সময়ই শোভনের কেবিন থেকে বেরিয়ে বৈশাখী প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কার অঙ্গুলিহেলনে শোভনকে আটকে রাখা হচ্ছে? গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মদনের গলায় টিউমার, তিন নেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক সারল মেডিক্যাল বোর্ড
বৈশাখী জানান, আদালতের নির্দেশানুযায়ী শোভনের গৃহবন্দি থাকার কথা। কিন্তু তাঁকে অন্যায়ভাবে উডবার্ন ওয়ার্ডে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, শোভনকে ছাড়া না হলে আগামী সোমবার তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও হুমকি দেন কাননের বান্ধবী। তাঁর আরও দাবি, ঠিক এই কারণেই নাকি আজ সারাদিন খাননি শোভন। অনশনে রয়েছেন তিনি।
বৈশাখী আজ রীতিমতো তোপ দেগে বলেছেন, “সিবিআই হেফাজতেও শোভনকে এতটা হেনস্থা হতে হয়নি যতটা এসএসকেএম হাসপাতালে হতে হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ক্ষমতার নগ্ন অপব্যবহার করা হচ্ছে।” লিভার সিরোসিসের যে তত্ত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তুলে ধরা হয়েছে শোভনের সেই ধরনের কোনও সমস্যাই নেই বলে দাবি করেছেন বৈশাখী। অর্থাৎ তিনি সোজাসুজি আঙুল তুলেছেন রাজ্য সরকারের হাসপাতাল এবং চিকিৎসক কর্তৃপক্ষের দিকে।
আরও পড়ুন: ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচব না দিদি’, টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসানো সোনালির কাতর আবেদন টুইটে