Election Commission: গ্রাহ্য CAA সার্টিফিকেট, শুনানির আগের রাতে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের
Election Commission: খসড়া তালিকায় নাম না থাকলেও, নতুন করে ফর্ম ৬ আবেদন করা যাবে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত যে তালিকা বেরোবে, সেখানে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। তবে এখানেও একটি প্রশ্ন রয়েছে। তাহলে মতুয়ারা কি নো ম্যাপিংয়ের আওতায় পড়বেন? ২০০২ সালে তাঁরা কীসের লিঙ্ক দেখাবেন?

কলকাতা: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে শুনানি। তার আগে বড়় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। মতুয়াদের জন্য বড় খবর। গ্রাহ্য হবে CAA সার্টিফিকেট। জানাল নির্বাচন কমিশন। তবে একটি বিষয়, CAA সার্টিফিকেট তখনই গ্রাহ্য হবে, যখন নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই খসড়া তালিকা বেরিয়ে গিয়েছে। মতুয়াদের মধ্যে অনেকেই CAA-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। কমিশনের তরফে থেকে যে নথিগুলি চাওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট নেই। এই সার্টিফিকেটটা নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ ছিল। সেটা কমিশন স্পষ্ট করেছে।
পাশাপাশি, খসড়া তালিকায় নাম না থাকলেও, নতুন করে ফর্ম ৬ আবেদন করা যাবে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত যে তালিকা বেরোবে, সেখানে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। তবে এখানেও একটি প্রশ্ন রয়েছে। তাহলে মতুয়ারা কি নো ম্যাপিংয়ের আওতায় পড়বেন? ২০০২ সালে তাঁরা কীসের লিঙ্ক দেখাবেন? কমিশনের তরফ থেকে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। যেহেতু এই নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে, মতুয়ারা ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে সেই লিঙ্কটাই দিতে পারেন। অর্থাৎ অনলাইন ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে এখন এই সার্টিফিকেটও গ্রাহ্য হল।
এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “নির্বাচন কমিশন তো বলছে না ১১ টা নথি লাগবে না। সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে সেটা বলছে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানছে না?”
যদিও বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইতিমধ্যেই ৭০ হাজার মানুষ CAA-তে আবেদন করেছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটও ইস্যু হয়েছে। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবে। বাংলাদেশি হিন্দু শরনার্থীদের জন্য বিজেপিই রয়েছে।”
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই পাওয়া যাবে ভোটাধিকার। তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন মতুয়ারা। কারণ তাঁরা CAA-এর আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নাগরিকত্বের আবেদন করলেই ভোটার লিস্টে নাম তোলা যাবে না। অর্থাৎ প্রথমে নাগরিক হতে হবে, তারপরই তাঁরা ভোটাধিকার পাবেন। আবেদনকারীদের ফোনে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটের মেসেজও ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু সেটা কি আদৌ শুনানিতে গ্রাহ্য হবে, তা নিয়েই ধন্দ ছিল মতুয়াদের মধ্যে। কারণ মতুয়াদের ৯০ শতাংশই শুনানির জন্য ডাক পেয়েছেন।
বঙ্গ সফর থেকে ফিরে গিয়েই মতুয়াদের উদ্দেশে বড় বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত করছি, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশুদ্র পরিবারের পাশে আমরা থাকব। তাঁরা তৃণমূলের দয়ায় নেই। মর্যাদার সঙ্গে মতুয়াদের ভারতে থাকার অধিকার আছে। আমাদের সরকার CAA এনেছে। BJP বাংলায় ক্ষমতায় এলে মতুয়া ও নমঃশুদ্রদের জন্য আরও অনেক কিছু করবে।” সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে শুনানির ঠিক আগের দিনই বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের।
