কলকাতা: তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই জানা যাচ্ছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বাংলাদেশে সাংসদ খুনে উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। টিভি ৯ বাংলায় বিস্ফোরক তথ্য এল সামনে। সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীন আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার কথা বলে ভাড়া নেয়। ফ্ল্যাটে ব্যবসার কাজ হবে বলে জানিয়েছিলেন দালালকে।
ফ্ল্যাটে অন্যদের আনাগোনা শুরু হতে দালালের প্রশ্নের মুখে পড়ে খুনের চক্রীদের তার সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেয়। কখনও পরিচয় দেয় বন্ধু হিসেবে। ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাট মালিক ও দালালদের সঙ্গে কথা বলে সেই তথ্য পেয়েছে সিআইডি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এর আগে বাংলাদেশি সাংসদকে দু’বার খুনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে ব্যর্থ হয়। তৃতীয়বার সফল হয়েছে। ফ্ল্যাটে ঢোকার পর অভিযুক্ত সাংসদকে ক্লোরোফর্ম প্রয়োগ করে সংজ্ঞাহীন করেছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, কলকাতার নিউটাউনে খুন হন বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার। এই খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী আখতারুজ্জামান শাহিন কলকাতায় সমস্ত পরিকল্পনা আগে থেকেই সম্পন্ন করে রেখেছিলেন। খুনের সরঞ্জাম নিজেই কিনেছিলেন তিনি। এবং সরঞ্জামগুলি তিনি দেন আততায়ীদের। শুধু তাই নয়, সম্পর্কে বেয়াই সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুঁইয়াকে সব বুঝিয়েও দেন শাহিন। এরপর সংজ্ঞাহীন করে মৃতদেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে গায়েব করে দেওয়া হয়।