বরাহনগর: বরাহনগর পুরসভার কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, বরাহনগর বিধানসভায় সেলেব্রিটি প্রার্থী চান না। তবে দল এ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অভিনেত্রী সায়ন্তিকাকে প্রার্থী করেছে। শনিবার সায়ন্তিকা যখন বরাহনগর টবিন রোডে কর্মিসভা করেন, সেখানে দেখা যায়নি এই কাউন্সিলরকে। যদিও পরে সায়ন্তিকা যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন হঠাৎই হাজির হন সঞ্চিতা। সংবাদমাধ্যমের সামনে একে অপরকে মিষ্টিও খাওয়ান। কিন্তু তাতে ফেসবুকে পোস্ট ভার কি লাঘব হল, সে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
তাপস রায় বরাহনগরের বিধায়ক ছিলেন। তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই ১ জুন এ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি এখানে সজল ঘোষকে প্রার্থী করেছে। তৃণমূলের মুখ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সায়ন্তিকার নাম নিয়ে প্রথম থেকেই গুঞ্জন ছিল। আর সেই গুঞ্জনের মাঝেই বরাহনগর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আমরা কোনও সেলেব্রিটি বা অভিনেতা অভিনেত্রী চাই না। আমরা চাই একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের প্রার্থী হোন। যিনি আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের হয়ে লড়াই করবেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া এই লড়াই লড়া খুব সহজ হবে না।’ যদিও পরে সঞ্চিতা বলেছিলেন আবেগের বহিঃপ্রকাশ ছিল পোস্টটি। দল যাঁকে প্রার্থী করবে, তিনি তাঁর সঙ্গেই থাকবেন।
এদিন বরাহনগর উত্তরের তৃণমূল প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ বর্ধন বলেন, “প্রার্থী যিনিই হোন, অভিনেতা, অভিনেত্রী কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমাদের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জেতানোর লক্ষ্যেই প্রচার করব।”
শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ সুজিত বসুর সঙ্গে টবিন রোডের নেতাজী কলোনি সেবা সঙ্ঘ ক্লাবে পৌঁছন প্রার্থী সায়ন্তিকা। যদিও তার অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন দমদম লোকসভার প্রার্থী তথা তৃণমূল নেতা সৌগত রায়, পার্থ ভৌমিক, বরাহনগর কেন্দ্রের একাধিক কাউন্সিলর ও কর্মীরা। সায়ন্তিকার প্রচারের ভার যাঁর উপর, সেই কাউন্সিলর অঞ্জন পাল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায যাঁকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন, তাঁর হয়ে সকলে প্রচারে নামবেন।