কলকাতা: তৃণমূল নেতারা যে গাড়িতে চড়েন, তার থেকে দামি গাড়িতে চড়েন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই তাঁর। দলবদলের জল্পনার উত্তরে একসময় এ কথাই বলেছিলেন সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে জয়ী বাইরন বিশ্বাস। মাস কয়েকের মধ্যেই বদলেছে ছবিটা। হাত ছেড়ে বর্তমানে তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন এসে তিনি জানালেন, সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ভোট সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এদিন বলেন, ‘তৃণমূলে আসার পর আমি সাহায্য পাচ্ছি, পুরোটাই ভালভাবে চলছে। আমার এলাকায় কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে।’ ভোটের ফলাফলে খুশি তিনি। বাইরন বলেন, ‘তৃণমূলের ফলাফল খুবই ভাল হয়েছে। আমার দায়িত্বে যে ১১টি অঞ্চল ছিল, তার মধ্যে ১০টিতেই তৃণমূল জিতেছে।’ সাগরদিঘির বিধায়ক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এলে তিনি নিজে কথা বলবেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাগরদিঘির তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্য়ুর পর যে উপনির্বাচন হয়, তাতেই তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন। বায়রনের এই জয় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিরোধীদের অক্সিজেন জুগিয়েছিল। পুরভোট, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও উপ নির্বাচনের এই ফলাফল জোর বাড়িয়েছিল সব বিরোধী দলেরই। কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ছবিটা পাল্টে যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দলবদব করেন বাইরন। যে সাগরদিঘি মডেল নিয়ে রাজ্যে রীতিমতো চর্চা চলছিল, সেই মডেলও মুখ থুবড়ে পড়ে এক ঝটকায়।