Behala: বেহালার ফুটপাতে পার্থর বন্ধ অফিসে আজও ব্যারিকেড, অথচ স্কুলের সামনে পুলিশ ছিল ‘মিসিং’
Behala: স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই দলীয় কার্যালয় রয়েছে একেবারে ফুটপাতের ওপরেই। দেখা গেল, সেই দলীয় কার্যালয়ের কোলাপসিবল গেট বন্ধ। আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই দলীয় কার্যালয়েই বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

কলকাতা: বেহালায় বারবার দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখল TV9 বাংলা। চৌরাস্তা মোড়ে বাসে ওঠানামা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, দখল হয়ে গিয়েছে সব ফুটপাথ। যেটুকু ফুটপাথ রয়েছে, তাও আবর্জনার ভর্তি। সেখানে বাসের জন্য দাঁড়ানোই যায় না। ডায়মন্ডহারবার রোডের অনেকাংশেই ফুটপাত বলে কিছু নেই। বাধ্য হয়েই মেইন রোড ধরে যাতায়াত করতে হয়। বেহালা ম্যান্টনে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই দলীয় কার্যালয় রয়েছে একেবারে ফুটপাতের ওপরেই। দেখা গেল, সেই দলীয় কার্যালয়ের কোলাপসিবল গেট বন্ধ। আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই দলীয় কার্যালয়েই বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিধায়ক গ্রেফতারের পর থেকেই এই দলীয় কার্যালয় পুরোপুরি বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্ধ অফিস ঘিরে এখনও পুলিশের গার্ডরেল রয়েছে। এদিকে, বেহাত হচ্ছে ফুটপাত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বহুদিন ধরেই এখানে এই অফিস। এমনকি রাস্তা পারাপার করার জন্য ওঁর অফিসের সামনেই একটা ব্যারিকেড করা রয়েছে। এখন অফিস বন্ধ। কিন্তু এসব রয়ে গিয়েছে। একটা ছোট্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে, সেখান থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করেন এলাকাবাসীরা। কোনও ট্রাফিক পুলিশ নেই। ”
ফুটপাতেরই এক ব্যবসায়ী বলেন, “কোনও মানুষ হয়তো পেটের ভাত জোগানের জন্য ফুটপাতের ধারে টিফিনের দোকান দিচ্ছেন, আর কলকাতা পুলিশ তাঁকে তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই পার্টি অফিসটার কী হল!”
এক বয়স্ক ব্যক্তি বললেন, “এটা কী হচ্ছে, সেটাই বুঝি না। এখান থেকে কীভাবে পার হই, সেটা আমরাই বুঝি। আমরা তো আর গার্ড রেল তুলে ফেলে দিতে পারি না। এটা পুলিশের ব্যাপার।”
ম্যান্টনে রয়েছে একটি পুলিশের কিয়স্ক। সেটাও দীর্ঘদিন বন্ধ। একটি পুলিশের ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। শুক্রবার সকালে বেহালায় বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত তার বাবাও। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। শুক্রবারের এক খুদের মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় লালবাজারকেও। থানায় থানায় জারি হয় নয়া নির্দেশিকা। শনিবার সকালে বেহালা চৌরাস্তার ছবিটাই অন্য। স্কুলের সামনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ, রাখা রয়েছে ব্যারিকেড।
