
কলকাতা: রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে এ রাজ্যের বিধায়কদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করল বঙ্গ বিজেপি। রবিবার শহরের উপকণ্ঠে একটি হোটেলে সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কী ভাবে ভোট দিতে হয়, তা এ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে হাতে কলমে শেখানো হয়েছে এ রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের ধরন লোকসভা, বিধানসভা ভোটের থেকে অনেকটাই আলাদা। কোনও ভুল হলেই বাতিল হয়ে যায় ভোট। আবার বিজেপির প্রতীকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচিত হওয়া অধিকাংশ জনই প্রথম বার বিধায়ক হয়েছেন। অতীতে এই ভোটের অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। সে জন্যই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।
রবিবারের প্রশিক্ষণ শিবিরে মক পোলিংও করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দলে থাকা সব বিধায়ককেই রবিবারের প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি-র প্রতীকে জিতে যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা অবশ্য আসেননি এই শিবিরে। অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিংকেও এই শিবিরে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে খবর বিজেপি সূত্রে। তবে বিজেপির একাংশের দাবি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সঙ্গে কথা হয়েছে পবনের। তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশিক্ষণের শেষে ওই হোটেলেই থাকবেন বিজেপি বিধায়করা। সেখান থেকে এক সঙ্গে তাঁরা যাবেন বিধানসভায়। সেখানেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান করবেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সব বিধায়ককে এক হোটেলে রাখা নিয়ে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ক্রস ভোটিং হতে পারে। তাই বিজেপি বিধায়কদের আগাম হোটেলে এনে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ক্যানিয়ের একটি জনসভা থেকে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। চন্দ্রিমা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “দলের বিধায়কদের উপর ভরসা নেই বিজেপি নেতৃত্বের । তাই রাষ্ট্রপতি ভোটের আগে সমস্ত বিধায়কদের বাইপাসের কাছে একটি হোটেলে এনে রেখেছে। আমাদের দলের বিধায়কদের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস ও ভরসা আছে। আর তাই আমরা নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভাতে উপস্থিত হব ভোট দিতে। ওদের বিধায়করা ক্রস ভোটিং করতে পারেন। আর সেই ভয়েই সমস্ত বিধায়কদেরকে এক জায়গায় করে এনে রাখা হয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছে এনডিএ। বিরোধীরা প্রার্থী করেছে যশবন্ত সিনহাকে।