
কলকাতা: টার্গেট ২৬! তৃণমূলের ‘বাঙালি অস্মিতা’র পাল্টা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। বাংলা বিরোধী তকমা ঘুচোতে এবার দুর্গা সহায় বিজেপির। এবারের দুর্গাপুজোতে বাঙালি মিলন সমারোহ বলে কর্মসূচি করবে গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালে বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই ফায়দা পেয়েছিল, অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এবারও তারা শান দিতে শুরু করেছে। কিন্তু এই ফায়দা যাতে তৃণমূল কংগ্রেস একা ঘরে তুলতে না পারে, সেখানেই থাবা বিজেপির। একটি কর্মসূচি নিয়েছে তারা, নাম বাঙালি মিলন সমারোহ।
এই কর্মসূচি গোটা ভারতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই বাঙালিরা দুর্গা পুজোর আয়োজন করে থাকে। সেখানে যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয়, তা দেখাশোনার জন্য কমিটি গড়েছে বিজেপি।নেতৃত্বে রয়েছেন দলের দুই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতম এবং তরুণ চুঘ।
বিজেপি নেতৃত্বের মতে, যেখানে পদ্ম শিবির ক্ষমতায় আছে সেখানে তো বটেই। যেখানে দল ক্ষমতায় নেই, সেখানেও দুর্গা পুজো আয়োজনে বাঙালিরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, যাতে আয়োজন যথাযথভাবে হয়। তার সবরকম সাহায্য করা হবে। তাঁদের নেতৃত্বের বিভিন্ন রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। সেখানে স্থানীয় নেতৃত্বের পাশপাশি বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটায় পুরোপুরিভাবে দিল্লির সরকার, বাঙালিদের পুজো যে কতটা সমারোহের সঙ্গে হয়, সেটায় আপ্লুত। তাঁরাও যাতে এর অংশীদার হতে পারেন, তার চেষ্টা চালাচ্ছে। গোটা দেশ জুড়েই, যেখানে বাঙালিদের পুজো হচ্ছে, সেখানে আমরা যুক্ত হচ্ছি। একটা রাজ্যে একজনের দায়িত্বে।”
বছর ঘুরলেই বাংলায় মহা-ইভেন্ট। তার আগে ‘বাঙালি অস্মিতা’- এই শব্দ বন্ধ এখন বঙ্গ রাজনীতির জ্বলন্ত ইস্যু। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শাসক-বিরোধী-প্রত্যেক দলের নেতৃত্বের মুখে ঘুরেফিরে আসছে বাঙালি অস্মিতা রক্ষার কথা! বাঙালি অস্মিতা রক্ষার্থে আদতে কে ব্যর্থ, তা নিয়ে যুযুধান প্রতিপক্ষ একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে, উত্তাল হচ্ছে সংসদ!
সম্প্রতি দমদমের সভামঞ্চে বক্তৃতা রাখার শুরুতেই মোদীর মুখে উঠে এল, দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির, কালীঘাট মন্দিরের কথায়। কেবল তাই-ই কলকাতা ওলিগলিতে থাকা মন্দির, যেমন করুণাময়ী কালী মন্দির, দমদম বালাজি হনুমান সবার কথা উল্লেখ করলেন, সঙ্গে আবার ঠিকানা-রাস্তার নম্বর ধরেও। এবার দুর্গাপুজোতেও বিজেপি এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।