
কলকাতা: কয়েক দিন পরই দুর্গাপুজোয় মেতে উঠবে মহানগরী কলকাতা। বিজেপির দুর্গাপুজোও এ বার পড়বে তৃতীয় বর্ষে। সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে বঙ্গ বিজেপি। সেই পুজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চাইছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এ নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছে আবদারও করেছেন। অমিত শাহ এলে সল্টলেকের ইজেডসিসি-র পাশাপাশি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের মতো বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপেও অমিত শাহকে হাজির করতে চান বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রচারের ঝড় তুলেছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিলও করেছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল যে ভাবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে প্রচারে নেমেছে,তাতে অনেকটাই ব্যাকফুটে গেরুয়াশিবির। কিন্তু বিজেপি মনে করে, এই স্বীকৃতির পিছনে কৃতিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই কৃতিত্বের ভাগ পেতে মরিয়া বিজেপির নেতারা। সে জন্যই তাঁরা মনে করছেন, অমিত শাহ যদি দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় আসেন, তাহলে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের কৃতিত্ব তুলে ধরা সহজ হবে। অমিত শাহকে ঘিরে উন্মাদনাও তৈরি হবে। কিন্তু বছর ভর ঠাসা কর্মসূচি থাকে শাহের। এত কম সময়ের মধ্যে অমিত শাহের সময় বের করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের। শাহের সময় না হলে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকেও আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিজেপির বৈঠকে। সেই বৈঠকে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে জনসংযোগে জোর দিতে বিজেপি বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। জনসেবামূলক কাজেও যুক্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার বার্তা বিধায়কদের দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।