কলকাতা: রাজ্যের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্পকে পুরস্কার দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে পাবলিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পাচ্ছে রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। নতুন বছরে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাজ্যের প্রতিনিধির হাতে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পগুলি বিশ্ববন্দিত হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার না চাইলেও সেগুলিকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছে। দুয়ারে সরকারের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আরও একবার সেটির প্রমাণ পাওয়া গেল।” যদিও দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে অতীতে মাঝেমধ্যেই খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। তবে কেন্দ্রের সার্টিফিকেটের পর দিলীপ ঘোষ বলছেন, ‘কোনও প্রকল্পে যদি মানুষ উপকৃত হন, তাতে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
তাহলে অতীতে কেন বিরোধীদের থেকে খোঁচা হজম করতে হচ্ছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে? সমালোচনার সুরে অতীতে দিলীপ ঘোষই বলেছিলেন, “দুয়ারে সরকার করতে গিয়ে, না তো সরকার আছে, না প্রকল্প আছে, না টাকা আছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় কর্মচারীও নেই।” খোঁচা দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে এখন দুয়ারে সরকার প্রকল্পে কেন্দ্রের সার্টিফিকেটের পর এখন সুর নরম বঙ্গ বিজেপি শিবিরের। টিভি নাইন বাংলার হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে অনুষ্ঠানে বিজেপি মুখপাত্র সুদীপ্ত গুহও এই সাফল্যকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। বলছেন, ” ভাল কাজ। যদি সাফল্য পায়, কেন খারাপ বলব?”
টিভি নাইন বাংলায় বিজেপির মুখপাত্র সুদীপ্ত গুহ সংশয়ের সুরে বলেন, “এরা প্রত্যেক বছর ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে। এর আগে একশো দিনের কাজে সাফল্য পেয়েছে, তারপর দেখা গেল দুর্নীতিই দুর্নীতি। আগে বলা হচ্ছিল বাংলার বাড়ির সাফল্যের কথা, আর এখন দেখতে পাচ্ছেন কী অবস্থা। এরা প্রথম বছরে প্রতিটি জায়গায় পুরস্কার পাচ্ছে, তারপরই দেখা যাচ্ছে দুর্নীতিতে ছড়াছড়ি। এই প্রকল্পেরও আগামী দিনে সেই অবস্থা হতে চলেছে।”
টিভি নাইন বাংলায় বিজেপি মুখপাত্রকে পাল্টা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র সুপ্রিয় চন্দ বলেন, “রাজনীতিতে এখন কাজ করাটাই হল আসল। যে কাজ করবে, তাকে মানতে বাধ্য হবে যে কোনও সরকার।” দুয়ারে সরকারে কেন্দ্রের স্বীকৃতি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির এই সুর নরম করেও সংশয়ের সুর প্রসঙ্গে সুপ্রিয় বলেন, “হিংসা, ইর্ষা ও সংকীর্ণতা থেকেই এই অবস্থান।”