কলকাতা: নবান্নে যাওয়ার আগে কালীঘাটে টিকাকেন্দ্রে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাট অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের উল্টোদিকে পুরসভার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সোমবার সেখানেই চলছিল টিকাকরণ কর্মসূচি। নবান্নে যাওয়ার আগে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। ঘুরে দেখেন টিকাকরণ পর্ব।
বিভিন্ন টিকাকরণ কেন্দ্র থেকেই অভিযোগ উঠছে, সকলে টিকা পাচ্ছেন না। সারা রাত লাইন দিয়েও অনেককে হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ কেন্দ্র নিজেই ঘুরে দেখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়ির কাছের টিকাকরণ কেন্দ্রে যান। কী ভাবে প্রক্রিয়া চলছে তা খোঁজ খবর নেন। সকলে টিকা পাচ্ছে কি না, পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে কি না সবই খতিয়ে দেখেন তিনি।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা দিলে এতদিনে গোটা কলকাতাবাসীর টিকাকরণ হয়ে যেত। কিন্তু কেন্দ্রের টিকা নীতির জন্যই এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ শহরবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া বাকি। ফিরহাদের দাবি, “কলকাতায় প্রতিদিন আমরা এক লক্ষ ভ্যাকসিন দিতে পারি। কিন্তু পাচ্ছি কোথায়?” সে কারণেই শহরের একাধিক বস্তি এলাকায় টিকাকরণের গতি শ্লথ বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবারই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রাত থাকতে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালের সামনে টিকাকরণের লাইনে থাকা গ্রাহকদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, স্থানীয়দের অনেকেই প্রায় প্রত্যেক দিনই অহেতুক লাইন দেন। অথচ পরে অন্যদের জন্য ছেড়ে দেন তাঁর লাইনের জায়গা। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও টিকা নিয়ে নানা অভিযোগ নিত্যদিনের ঘটনা। টিকা নিতে মশারি টাঙিয়ে রাত্রিবাসের উদাহরণও দেখা গিয়েছে বাংলায়। এরই মধ্যে এদিন আচমকাই টিকাকরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন: শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, ‘ধৃতের সঙ্গে একই মঞ্চে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ’