
কলকাতা: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলন চলবে ২ দিন। ৪০ টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি-সহ মোট ৫ হাজার বিশিষ্ট শিল্পপতি- শিল্প বিশেষজ্ঞরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। ৪০টির মধ্যে ২০ টি দেশ পার্টনার, এ কথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ২০ টি দেশের রাষ্ট্রদূত কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগদানের কথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ আনাই লক্ষ্য। তবে তার আগে সরকার মন দিয়েছে জমিনীতি সুদৃঢ়করণের ওপরেই। ইতিমধ্যেই নিউটাউনে সিলিকন ভ্যালি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই সম্মেলন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে কত বিনিয়োগ এল, কোন কোন শিল্পপতি বিনিয়োগের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে মহিলা মন্ত্রীদের বিশেষ দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোন মন্ত্রী কোন ভূমিকা পালন করবেন। মহিলা মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় সারিতে বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মান্ডি। তাঁদের অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, শিল্প সম্মেলনের নামে আসলে টাকার অপচয় হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা প্রত্যেক বছর আসলে একটা বাৎসরিক উৎসব হয়। একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। কোথায় কী রয়েছে বলুন তো? এখনও পর্যন্ত যে কটা বিজিবিএস হয়েছে, তাতে ১৪-১৫ টাকা কোথাও ইনভেস্ট হয়েছে, কোথাও দেখতে পেয়েছেন? উল্টে ২০২১ সালের পরে ডাবরের কারখানা, কেশরাম রেয়ন, নৈহাটি, ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানা বন্ধ হয়েছে।”