‘মমতার জন্যই ভবানীপুর ছাড়লাম’, পদত্যাগ বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো কেন্দ্র এই ভবানীপুর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই কেন্দ্র থেকে লড়েন শোভনদেব।

'মমতার জন্যই ভবানীপুর ছাড়লাম', পদত্যাগ বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের
অধ্যক্ষের হাতে দিলেন পদত্যাগপত্র
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 2:38 PM

কলকাতা: ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগে করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আজই বিধানসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্র ছেড়ে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করলেন বর্ষীয়ান এই বিধায়ক। তবে তিনি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাকি এটা দলের সিদ্ধান্ত, তা খোলসা করেননি।

আজ শুক্রবার বিধানসভায় পদত্যাগ করতে যাওয়ার পথে তিনি জানিয়েছেন, দলনেত্রীকে ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে আসতে হবে। তাঁর নিজের কেন্দ্র থেকে আমি জিতেছিলাম। আর মমতার মুখ্যমন্ত্রী থাকাটা আমাদের ও আমাদের দলের অস্বতিত্বের প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন যখন সামন এসেছে, তখনই আমি এমন সিদ্ধান্ত  নিয়েছি।’ তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকে তিনি বারুইপুর কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন, তখন ওই কেন্দ্র চিনতেন না তিনি।  পরে তাঁকে রাসবিহারী কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়। আর এবার ভবানীপুর। কোনোদিনই প্রতিবাদ করেননি বলে উল্লেখ করেন শোভনদেব। তিনি বলেন, ‘এর জন্য কোনও আক্ষেপ নেই। আমি দলের দীর্ঘদিনের অনুগত সৈনিক।’ তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে, সে ব্যাপারে মমতা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরেই মমতার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর। আর সেই কেন্দ্র ছেড়ে এবার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, ভবানীপুর থেকে লড়াই করেন ও জয়ী হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরও বিপুল আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নেন মমতা। কিন্তু পরাজিত প্রার্থী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী থাকা সম্ভব নয়, তাই আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে। সেই হিসেবেই তাঁকে ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ‘হেরো’ সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলিকে নিয়ে অভিনেতা অনিন্দ্য লিখলেন, “…কারও কাছে কান্তি আছে”?

অন্য দিকে, তৃণমূল সূত্রে খবর, শোভনদেবকে খড়দা কেন্দ্র প্রার্থী করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল দল। কিন্তু বিধান পরিষদ ৬ মাসে তৈরি সম্ভব নয়। তাই অমিত মিত্রকে সম্ভবত সেখানে থেকে দাঁড় করানো হবে। সে ক্ষেত্রে শোভনদেবকে রাজ্যসভায় নিয়ে যাওয়ার ভাবনা চিন্তা রয়েছে। তাঁর ছেলে সায়নদেব কে পুরসভা ভোট দাঁড় করানো হবে বলেও দলের তরফে ওই বর্ষীয়ান নেতার কাছে বার্তা গিয়েছে।