Coromandel Express Accident: মর্গ উপচে পড়ছে মৃতদেহের ভিড়ে, পারাদ্বীপ থেকে বিশেষ কন্টেনার আনছে AIIMS

Coromandel Express Accident: একেকটি কন্টেনারে থাকবে ৩০ থেকে ৪০টি দেহ। অর্থাৎ দেহ শনাক্ত করতে দেরি হলেও যাতে সেগুলি সুরক্ষিত রাখা যায়, সেই ব্যবস্থাই করছে এইমস।

Coromandel Express Accident: মর্গ উপচে পড়ছে মৃতদেহের ভিড়ে, পারাদ্বীপ থেকে বিশেষ কন্টেনার আনছে AIIMS
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2023 | 9:56 PM

ওড়িশা: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। ওড়িশার একাধিক হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে দেহ। পরিজনের দেহ খুঁজতে কালঘাম ছুটছে আত্মীয়দের। অনেক ক্ষেত্রে দেহ শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় ভুবনেশ্বর এইমসের মর্গে মৃতদেহগুলিকে জায়গা দেওয়ায়ই কঠিন হয়ে উঠেছে। তাই এবার বিকল্প ব্যবস্থা করল এইমস। মৃতদেহ যাতে বেশি দিন রাখা সম্ভব হয়, তার জন্য আনা হচ্ছে বিশেষ ধরনের কন্টেনার। যে কন্টেনারে এক থেকে দু বছরও রাখা যেতে পারে দেহ।

জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বর এইমসে এসেছিল ১২৩ জনের দেহ। তার মধ্যে ৪১ জনের দেহ তাঁদের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এইমসের কর্তা আশুতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, দেহ বেশিদিন ধরে রাখার জন্য পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বিশেষ ধরনের কন্টেনার আনা হচ্ছে।

তিনি জানিয়েছেন, ওড়িশার কোনও হাসপাতালেই এতগুলি দেহ একসঙ্গে রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই পারাদ্বীপ থেকে পাঁচটি কন্টেনার আনা হচ্ছে এইমসে। একেকটি কন্টেনারে থাকবে ৩০ থেকে ৪০টি দেহ। অর্থাৎ দেহ শনাক্ত করতে দেরি হলেও যাতে সেগুলি সুরক্ষিত রাখা যায়, সেই ব্যবস্থাই করছে এইমস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনায় এত বেশি মৃত্যু আর দেখা যায়নি। এখনও শয়ে শয়ে মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই বহু যাত্রীর আত্মীয় পৌঁছে গিয়েছেন ওড়িশায়। তবে কার দেহ কোন হাসপাতালে আছে, তা বুঝে উঠতে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা চলছে।