Bhupatinagar Case: ‘আঘাতের চিহ্ন নেই, তাও ৩২৫ ধারা কেন?’ ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশকে কড়া প্রশ্ন বিচারপতির

Bhupatinagar Case: ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল এদিন দাবি করেন, রাজ্যে বারবার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনার পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৯ আয়কর দফতরের অফিসারদের উপরেও হামলা হয়েছিল। হেয়ার স্ট্রিটে গেলে উলটে তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করে পুলিশ। আদালত সেই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছিল।

Bhupatinagar Case: আঘাতের চিহ্ন নেই, তাও ৩২৫ ধারা কেন? ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশকে কড়া প্রশ্ন বিচারপতির
হাইকোর্টে ভূপতিনগর মামলাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 10, 2024 | 3:12 PM

কলকাতা: ভূপতিনগরের মামলায় এবার আরও কড়া হাইকোর্ট। যেখানে তল্লাশিতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অফিসারদের বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ? তাও আবার গুরুতর ধারায়? এমন প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল পুলিশকে। উল্লেখ্য, ধৃত মনোব্রত জানার স্ত্রীর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই গুরুতর আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে এনআই অফিসারদের বিরুদ্ধে।

মিথ্যা অভিযোগ… জানানো হয়েছিল পুলিশকে: NIA

এনআইএ-র তরফের আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, সন্দেশখালিতে যা হয়েছিল ভূপতিনগরেও তাই হয়েছে। তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকায় কাজ করতে যায় এনআইএ। অন্তত পাঁচ জন জড়িত ছিলেন বলে দাবি এনআইএ-র, তার মধ্যে চার জনকে তলব করা হয়েছিল দু’বার। তারপরও তাঁরা যাননি। তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ উঠে আসায় তল্লাশিতে যায় এনআইএ।

আইনজীবীর দাবি, ৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে চারটেয় সাহায্য চাওয়া হয় পুলিশের কাছে। এরপর সেখান থেকে মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় অন্তত ১০০ মহিলা উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। মনোব্রত জানার স্ত্রীর অভিযোগ, ঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী। এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে যাতে কোনও পদক্ষেপ না করা হয় সেই আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে।

এদিকে, রাজ্যের দাবি পুলিশের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগই করা হয়নি। আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতাতেও কেউ যদি ভোর তিনটেয় আসে, তাহলে থানা কী করবে সন্দেহ আছে। রাজ্যের দাবি, পুলিশ প্রস্তুত ছিল, কিন্তু সকাল ৬ টা ২৫ পর্যন্ত কোনও ফোন যায়নি।

কোনও প্রমাণ ছাড়াই গুরুতর ধারা কেন, প্রশ্ন বিচারপতির

এদিন আরও একবার বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশ। কেন এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশকে বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন? কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?”

এ ক্ষেত্রে রাজ্যের যুক্তি হল, কোনও মহিলা যদি এসে ধর্তব্যযুক্ত অভিযোগ করেন থানায়, তাহলে সেটা পুলিশ গ্রহণ করতে বাধ্য। অভিযুক্তের স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে কেন পুলিশ এত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

বারবার একই ঘটনা রাজ্যে!

ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল এদিন দাবি করেন, রাজ্যে বারবার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনার পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৯ আয়কর দফতরের অফিসারদের উপরেও হামলা হয়েছিল। হেয়ার স্ট্রিটে গেলে উলটে তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করে পুলিশ। আদালত সেই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছিল।