‘পুলিশ জানাল, আপনার ছেলেকে মেরে দেওয়া হয়েছে’, কলকাতায় দেহ নিতে এসে বললেন ভুল্লারের বাবা
Newtown Shootout: জয়পালের বাবা জানান, পঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবারই তাঁকে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়। এরপরই কলকাতায় আসেন তিনি।
কলকাতা: ছেলের দেহ নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছলেন গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারের বাবা ভূপিন্দর সিং ভুল্লার। টেকনোসিটি থানায় পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভূপিন্দর সিং ভুল্লার নিজে পঞ্জাবের একজন পুলিশ কর্মী। তাঁর ছেলের এই পরিণতি!
জয়পাল সিং ভুল্লারের বাবা ভূপিন্দর সিং ও দুই আত্মীয় এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকে প্রিপেড ট্যাক্সিতে সোজা পৌঁছন টেকনো সিটি থানায়। সেখানে পুলিশ ও এসটিএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
জয়পাল সিং ভুল্লারের বাবা জানান, বুধবার পঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনা জানার পর বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন ছেলের দেহ নিতে। ভূপিন্দর সিং ভুল্লার বলেন, “আমাকে পুলিশ জানিয়েছিল, আপনার ছেলে মেরে দেওয়া হয়েছে। ডেড বডি নিতে এসেছি। এর বেশি আর কী বা বলব!”
আরও পড়ুন: ফেসবুক খুলতেই মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠল নিজের অশ্লীল ছবি! হতবাক যুবতী
অন্যদিকে সূত্রের খবর, এদিনই এসটিএফের তরফে ফ্ল্যাটের দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত আকবর আলি ও মোদাসসর আলিকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তবে জানা যায়, মোদাসসরের শরীর ভাল না থাকায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। বদলে তাঁর দুই ভাই আকবর আলি ও সাবির আলি হাজিরা দেন। বেশ কিছু নথিও তাঁদের কাছে দেখতে চেয়েছিল পুলিশ। তাও দাখিল হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আকবরের বন্ধু হাসনাইন আহমেদের, এগ্রিমেন্ট ইমেল-এর মাধ্যমে হয়েছিল। এজেন্ট ছিলেন দালাল সুশান্ত সাহা। তবে কাগজপত্র ভেরিফিকেশনের জন্য থানায়ও দেওয়া হয়েছিল।
প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর টেকনো সিটি থানা থেকে বের হন আকবর ও সাবির। পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানান তাঁরা। একইসঙ্গে বলেন, ভাড়া দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইনে হয়েছিল। বাড়িতে কয়েকজন কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সরাসরি দেখা হয়নি। দালাল মারফৎ এই যোগাযোগ হয়।
সূত্র বলছে এখনও যে সমস্ত তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ-
* খোঁজ মিলেছে আবাসনের ফ্ল্যাট মালিকের। মালিক সাবির মোল্লা বিহারের বাসিন্দা। * দালালের নাম সুশান্ত সাহা। তাঁকে বুধবার রাতেই জেরা করা হয়েছে। * ভুল্লারদের নামে ফ্ল্যাট নেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। * সুমিত কুমার নামে তৃতীয় ব্যক্তির নামে তা ভাড়া নেওয়া হয়। ব্যবসায়ী পরিচয়ে ১১ মাসের চুক্তি। দালাল সুশান্তকে জেরার করে এই সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। * মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাট নেওয়া হয়। পাসপোর্ট, আধার কার্ড দেখিয়ে ফ্ল্যাট নেওয়া হয়েছিল। সুশান্তকে ফোন করেছিলেন সুমিতই। * জয়পাল, যশপ্রীতের পাকিস্তান যোগের সূত্র। পাক মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ। ফ্ল্যাটে মিলল উর্দুতে লেখা প্যাকেট। পাকিস্তানের পঞ্জাবের ঠিকানা লেখা প্যাকেট। উদ্ধার ‘মেড ইন পাকিস্তান’ রিভলভার।