Chinar Park: শাশুড়ির জন্যই ‘সর্বনাশ’ হয়েছিল আরতির! তাই বাড়ির বউই কি না… চিনার পার্ক-কাণ্ডে চাঞ্চল্য়কর আপডেট

Ranjit Dhar | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 27, 2025 | 3:23 PM

Chinar Park: পারিবারিক সূত্রে আরতির অনেক আত্মীয় রয়েছে দিল্লি, প্রয়াগরাজে। সেই আত্মীয়দের সূত্রেই যোগাযোগ হয় রামু সরোজের সঙ্গে।

Chinar Park: শাশুড়ির জন্যই সর্বনাশ হয়েছিল আরতির! তাই বাড়ির বউই কি না... চিনার পার্ক-কাণ্ডে চাঞ্চল্য়কর আপডেট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে লুঠপাট চালিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সিআইএসএফ-এর সদস্যরা। খাস কলকাতায় সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চিনার পার্কে যে মহিলার বাড়িতে চুরি হয়েছে, তাঁর সৎ মা-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আয়কর দফতরের আধিকারিক সেজে সিআইএসএফ-এর সদস্যরা লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। এবার সামনে এল সেই ঘটনার আরও অনেক তথ্য।

তদন্ত করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, কুম্ভমেলার পর থেকেই শুরু হয় লুঠের পরিকল্পনা। যে প্রোমোটারের বাড়িতে লুঠ হয়, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আরতি সিং-এর মেসোর সঙ্গে পুরনো যোগাযোগ ছিল সিআইএসএফ-এর হেড কনস্টেবল রামু সরোজের। পারিবারিক সূত্রে আরতির অনেক আত্মীয় রয়েছে দিল্লি, প্রয়াগরাজে। সেই আত্মীয়দের সূত্রেই যোগাযোগ হয় রামু সরোজের সঙ্গে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আরতি তাঁদের জানিয়েছিলেন বাড়িতে নগদ প্রায় ৭ কোটি টাকা থাকবে। সব শুনে রামু গোটা অপারেশনের জন্য যোগাযোগ করে ফরাক্কায় কর্মরত ইনস্পেক্টর অমিত সিং-এর সঙ্গে। অমিত সিং বাকি লোকজনদের একত্রিত করে।

অপারেশনের রাতে মহিলা কনস্টেবল সহ তিনজন সিআইএসএফ কর্মী নিজেদের উর্দি পরেছিল। চুক্তি হয়েছিল, লুঠের টাকা এবং গয়নার অর্ধেক বাটোয়ারা হবে আরতি এবং অমিতদের মধ্যে। সেই মতো পুরো কাজ হয়। তবে কোটি কোটি টাকার লোভে লুঠ চালালেও তিন লক্ষ টাকার বেশি পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।

তদন্তে উঠে এসেছে, আরতির সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁর শাশুড়ির। প্রোমোটার জীবিত থাকাকালীন বাড়ির টাকা-পয়সার নিয়ন্ত্রণ ছিল আরতির হাতে। পরে শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধের পর সব টাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তাঁর হাত থেকে। মাসোহারার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন আরতি। সেই আক্রোশ থেকে লুঠের পরিকল্পনা বলে সূত্রের খবর।

শহরে প্রোমোটারের প্রায় ৫০টি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া আছে। ফলে প্রতি মাসে বিপুল নগদ টাকা বাড়িতে আসত। সঙ্গে ছিল আরতির শাশুড়ির অনেক সোনার গয়না। শাশুড়ির গয়না বাড়িতেই থাকত বলে জানতেন আরতি। লুঠের সময় সেই গয়না নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২৫ ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।