প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: তিনি বারবার ভোটে লড়েন। প্রতিবারই হেরে যান। তবুও লড়তে ভোলেন না। তাই শুক্রবারের বারবেলায় বিধানসভায় ছুটে এলেন শ্যামনন্দন ঘোষাল। এবার লক্ষ্য, আগামী ৯ আগস্ট রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো। তাই নির্বাচনের সে সব বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ছুটে আসা বিহারের পটনার এই প্রৌঢ়ের।
কর্মজীবনে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চাকরি করেছেন। বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সেই আবহে গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পটনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শ্যামনন্দন। তবে হেরে যান। কিন্তু হাল ছাড়েননি। ফের ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা ভোটেও লড়েন তিনি। না হারতে হয় সেবারও।
এর মাঝে বিরতি বলতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট। সেবার অবশ্য আর ভোটের লড়াইয়ে নাম লেখাননি তিনি। তবে পরবর্তীতে বিহারের রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সে রাজ্যের বাসিন্দা এই শ্যমনন্দন। অবশ্য একটিও ভোট পাননি এই নির্দল প্রাথী। আর এবার ভিন রাজ্যের রাজ্যসভায় দাঁড়াতে চান শ্যামনন্দন। যদিও তাঁর পক্ষে বিধায়কদের প্রস্তাবক হিসাবে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। সেই লড়াকু মনোভাব নিয়ে শ্যামনন্দনের এদিন হাজির হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বারবার হারেন। তবুও কেন ভোটে দাঁড়ান? সে প্রশ্নের জবাব অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন শ্যামনন্দন। তাঁর কথায়, “বিহার নিয়ে কেন কথা বলা হচ্ছে? তিনি এখানের বিধানসভায় (পশ্চিমবঙ্গ) এসেছেন। তা নিয়ে কথা বলুন না!”
কিন্তু হারবেন তো? কেন এলেন এতটা রাস্তা? এই ‘অস্তিত্বকর’ প্রশ্নের উত্তরও সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন শ্যামনন্দন। বললেন, “সময় হলে জানবেন।”
দীনেশ ত্রিবেদির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণে রাজ্যসভার যে আসনটি শূন্য হয় আগামী ৯ আগস্ট তার ভোট। তার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।
তৃণমূলের (TMC) তরফে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা প্রার্থীর প্রস্তাবক হবেন, তাঁদের সোমবার কলকাতায় আসার জন্যও বলা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। আর তার মধ্যেই পটনা থেকে ছুটে এলেন শ্যামনন্দন। আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পালটা স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব তৃণমূলের, সাসপেন্ড হয়েও নাছোড় শান্তনু