সুমন মহাপাত্র
আদালতের নির্দেশে অনেকেই ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছে। সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তাতে ২০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী নিয়োগের কথাও তুলে ধরেছে এসএসসি। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এখন তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার। এবার যাঁরা চাকরি হারাচ্ছেন, তাঁদের আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। বিকাশ বাবুর কথায়, “এরা প্রতারণার শিকার”। শিক্ষা দুর্নীতির প্রেক্ষিতে ‘ঘুষ দেওয়া’ আর ‘ঘুষ নেওয়া’ সমান অপরাধ বলেও মনে করেন না তিনি।
বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জনের কথায়, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরাও প্রতারণার শিকার। তাঁদের অভিযোগ করা উচিত। তাঁরা যদি আসেন, আমার কাছে সাহায্য চান, আমি সাহায্য করব। যাঁরা এত বড় প্রতারণার শিকার হলেন, তাঁদের টাকা ফেরতের জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করা দরকার।” এক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়া অপরাধ মনে করছেন না বিকাশ বাবু। বলেন, “একটি বেকার ছেলে, সে তাঁর পরিবারকে রক্ষা করার জন্য, সরকারের যেটি প্রাথমিক কর্তব্য কাজের সুযোগ করে দেওয়া… তা করতে পারেনি। তখন তাঁকে প্রলোভন দেওয়া হয়েছে… তুমি টাকা দাও, চাকরি পাবে। ঘুষ দেওয়া আর ঘুষ নেওয়া সমান যাঁরা বলেন, তাঁরা বিকৃত ব্যাখ্যা করেন।”
তাঁর আরও সংযোজন, “একটা অসহায় মানুষ, যে ক্ষুধার্ত… তাঁকে যদি বলা হয়, তোমায় আমি খাবার দেব, তুমি আমার এই কাজটি করে দাও। সে সেই কাজটি করলে, তা আমি অপরাধ বলে মনে করি না। প্রেক্ষিতটি বিচার করতে হবে। সবচেয়ে বড় অপরাধী, যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন। ঘৃণ্যতম অপরাধ। এদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া উচিত। এমন শাস্তি দেওয়া উচিত, মানুষ দেখে ভয় পেয়ে যাবে।”
এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন এই বিষয়ে বলেন, “বিকাশবাবু একজন আইনজীবী। তিনি যদি মনে করেন যাঁরা টাকা নিয়েছে, বা বেনিয়ম করেছে, তাঁদের মুখোশ খুলতে তিনি বরখাস্ত শিক্ষকদের আইনি সাহায্য দেবেন, তিনি দিতেই পারেন। তবে আমাদের আবেদন থাকবে, এর পাশাপাশি আদালতে তিনি যেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির জন্য সওয়াল করেন।”