কলকাতা: প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ইডি কিংবা সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে আগেও দেখেছে রাজ্যবাসী। শুক্রবার সকাল থেকে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে দেখেও খুব বেশি অবার হননি সাধারণ মানুষ। কিন্তু শুক্রবার ইডি-র প্রকাশ করা কয়েকটি ছবিই নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিকে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঘরের মেঝেতে নোটের পাহাড়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এত টাকা কোথা থেকে এল? এই প্রশ্ন যখন সব মহলেই ঘুরছে, তখন বাম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করলেন ঠিক জায়গায় তল্লাশি চালালে মিলবে কয়েক’শ কোটি টাকা।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই রয়েছে ইডি আধিকারিকরা। এরই মধ্যে টাকা উদ্ধারের বিষয়টাকে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন বাম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হতে পারে কয়েক’শ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেছেন, দেরি করলে পার্থ-র সারথীরা পালিয়ে যাবে। তাঁর দাবি, রাজনীতির জামা পরা ‘চোর’দের ধরিয়ে দেওয়া উচিত রাস্তায় নেমে।
সম্প্রতি এই বাম নেতাকে বারবার নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলিতে বর্ষীয়ান আইনজীবী হিসেবে মামলাকারী তথা চাকরি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সওয়াল করছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, তাই তাঁর জন্য নিয়োগ আটকে আছে বলে দাবি করেছেন মমতা। সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দাবি করতে দেখা গিয়েছে, বিকাশবাবুর মামলাগুলির জন্যই রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাম আমলে মেয়র থাকাকালীন বিকাশ ভট্টাচার্যের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়েছিল বলেও দাবি করেছেন মমতা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিকাশের বিরুদ্ধে জন্ম শংসাপত্র দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও বিকাশ এই সব অভিযোগে আমল দিতে রাজি নন। আর এবার পার্থ-র বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর শাসক দলকেই নিশানা করলেন বাম নেতা।