নিউটাউন: দুটি বাসের রেষারেষির জেরে কয়েকদিন আগেই সল্টলেকে প্রাণ গিয়েছে ক্লাস ফোরের এক ছাত্রর। গাড়ির বেপরোয়া গতি রোধে পুলিশকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, গাড়ির বেপরোয়া গতিতে কি লাগাম দেওয়া গিয়েছে? রবিবার নিউটাউনে একটি দুর্ঘটনার পর ফের উঠল এই প্রশ্ন। এদিন একটি টোটোর সঙ্গে মোটবাইকের সংঘর্ষে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষের পর আগুন ধরে যায় মোটরবাইকে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ নিউটাউনের সাচী সিগন্যাল থেকে একটি টোটো যাত্রী বোঝাই করে নিউটাউনের রামমন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় উল্টো দিক থেকে সিগন্যাল ভেঙে একটি বাইক রাম মন্দিরের দিক থেকে সাচীর দিকে যাচ্ছিল। দ্রুত গতিতে আসা বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে টোটোতে। আরোহীসহ বাইকটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। বেপরোয়া গতি থাকায় আগুন লেগে যায় বাইকে। অন্যদিকে টোটোর এক মহিলা যাত্রী এবং টোটো চালক গুরুতর আহত হন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি রোডের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আসে দমকল। মোটরবাইকের আগুন নেভানো হয়। ততক্ষণে অবশ্য মোটরবাইকটি প্রায় পুড়ে গিয়েছে।
সল্টলেকে বাসের রেষারেষিতে ছাত্রের মৃত্যুর পর দুর্ঘটনা এড়াতে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী, পুর মন্ত্রী, বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। তারপরও বেপরোয়া গতি রোধে পুলিশ ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠছে।