
কলকাতা: তৃণমূলে এখন জেলায় জেলায় বীরভূম মডেল? ছবি দেখে অন্তত তেমনই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে জেলাস্তরের পর এবার ব্লকেও কোর কমিটি। সোজা কথায় ব্লক স্তরের খোলনলচেটাই এক্কেবারে বদলে ফেলা হচ্ছে। খোদ বীরভূমের সিউড়ি ব্লক ২-তে কোর কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল আর এবার সাগরদিঘি ও লালগোলা ব্লকে নেতৃত্ব বদল হয়েছে। লালগোলা ও সাগরদিঘি ব্লক সভাপতি পদ তুলে দিয়ে ৬ এবং ৭ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সাগরদিঘির কোর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস, লালগোলার কোর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন রুমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বদল বহরমপুরেও
তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্লক স্তরে এই কোর কমিটির মডেল দেখা যাচ্ছে বহরমপুরেও। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বহরমপুর টাউনে টাউন সভাপতির বদলে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। একুশে বহরমপুর বিধানসভাতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এদিকে আবার ভরতপুরের দু’টি সাংগঠনিক ব্লকের কোনও স্তরের কোনও নেতৃত্বের নাম সামনে আনা হয়। এই ভরতপুরের বিধায়কই কিন্তু বিতর্কিত হুমায়ুন কবীর।
হুগলিতেও বদল
অন্যদিকে হুগলির আরামবাগ ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে এলাকারই তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। দিনে দিনে অস্বস্তি বেড়েছে দলের। এই বলাগড়ে আনা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রকে। তাঁকে আহ্বায়ক করে তৈরি করা হয়েছে ৭ সদস্যের কোর কমিটি। ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজি।
অন্যদিকে আবার আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত খানাকুল এক নম্বর ব্লকে জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই খানাকুল কিন্তু বর্তমানে আবার গেরুয়া শিবিরের দখলে। প্রসঙ্গত, বীরভূমেই প্রথম কোর কমিটির এই মডেল চালু হয়। পরে দার্জিলিং সমতলেও এই মডেল অনুসরণ করা হয়। কিন্তু জেলার পর এবার ব্লক স্তরেও কোর কমিটি মডেল শাসকদলের। এখন নতুন বদলে ভোটের আগে দলের সাংগঠনিক শক্তি কতটা বাড়ে সেটাই দেখার।