Kolkata Municipality: ‘বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে ১৫ মিনিট বলুন তো..’, মালা রায় BJP কাউন্সিলরকে এমন বলতেই….

Kolkata: দুপক্ষ তখন রীতিমতো চিৎকার-চেঁচামেচিতে ফেটে পড়ে। মেয়র রীতিমতো ধমক দিতে থাকে সজল ঘোষ,মীনাদেবী পুরোহিতদের। এমনকি চেয়ারপার্সন মালা রায়, মিনা দেবী পুরোহিতকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ১৫ মিনিটের মধ্যে বাংলা কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বাংলায় বক্তব্য রাখার জন্য।

Kolkata Municipality: বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে ১৫ মিনিট বলুন তো.., মালা রায় BJP কাউন্সিলরকে এমন বলতেই....
কলকাতা পুরসভাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 20, 2025 | 2:01 PM

কলকাতা: বাঙালি অস্মিতা প্রশ্নে এবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে শাসক- বিরোধী তুমুল তরজা। বিজেপির তিন কাউন্সিলর সজল ঘোষ,বিজয় ওঝা এবং মিনা দেবী পুরোহিতের নিজেদের জায়গা থেকে উঠে তুমুল চিৎকার। পাল্টা ধমক দিয়ে বিরোধীদের চুপ করতে বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

বুধবার কলকাতা পৌরসভার অধিবেশনে বিতর্ক শুরু হয় তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্তের একটি প্রস্তাবে। ওইদিন ছিল ভারতের প্রাক্তন এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবর্ষ।
কলকাতার রেড রোডের নাম দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দিরা গান্ধী সরণি। রেড রোডের নাম পরিবর্তন করে কার্নিভাল লেন করার প্রস্তাব আনেন ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তৃণমূল কাউন্সিলর।

এরপরই ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী অধিবেশনে বক্তব্য দিতে রাজা রামমোহন রায়কে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গটি টেনে আনেন। নিজের বক্তব্যে বাংলা ও বাঙালি যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিজেপি কীভাবে বাংলা বিদ্বেষী সেই প্রসঙ্গ টেনে আনতেই শুরু হয়ে যায় হট্টগোল।

তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতা পুরসভার পুরশ্রী যে মাসিক ম্যাগাজিন রয়েছে, তাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যাঁরা-যাঁরা বেইমানি করেছিলেন এবং তৎকালীন জনসংঘ বা সংঘ পরিবার থেকে যেভাবে স্বাধীনতা আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল সেগুলি এই বইতে স্থান দিতে হবে।” পাল্টা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলতে ওঠেন। এরপর তিনি লিস্ট ধরে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্য তুলে ধরতে শুরু করেন।

এর পরই শাসকদল এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে আসরে নামেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলতে উঠে অরূপ চক্রবর্তীকে সমর্থন করেন। তারপর বিজেপি কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করছে এবং কীভাবে বাংলা বিদ্বেষী হয়ে উঠেছে তা নিয়ে সরব হন।

দুপক্ষ তখন রীতিমতো চিৎকার-চেঁচামেচিতে ফেটে পড়ে। মেয়র রীতিমতো ধমক দিতে থাকে সজল ঘোষ,মীনাদেবী পুরোহিতদের। এমনকি চেয়ারপার্সন মালা রায়, মিনা দেবী পুরোহিতকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ১৫ মিনিটের মধ্যে বাংলা কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বাংলায় বক্তব্য রাখার জন্য।

এরপর বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতকে অপমান করেছেন চেয়ারপার্সন, এই দাবি নিয়ে তখন উত্তাল পুরসভার অধিবেশন। পুরসভার কাজকর্ম বিষয়ে আলোচনার বদলে রীতিমতো রাজনৈতিক মঞ্চ হয়ে ওঠে পুরসভার এই অধিবেশন পর্ব। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচিতে ফেটে পড়ে অধিবেশন কক্ষ। তার মধ্যে মেয়র নিজের বক্তব্য শেষ করেন। সজল ঘোষ বলেন, “আমি আজকের ঘটনার তীব্র নিন্দা করব। চেয়ারপার্সন ঐতিহাসিক চেয়ারে বসে অপমান করেছেন।” অপরদিকে, তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি আসলে বাংলা বিদ্বেষী। তাই ওদের গায়ে লেগেছে।”