BJP Councillor Sajal Ghosh: জামা-কাপড়ের দুর্নীতি ফাঁস হবে বলেই পরিকল্পিত হামলা: সজল
BJP Leader Sajal Ghosh: সজল বলেন, "আমায় পাগল কুকুরে কামড়ায়নি যে অকারণে কাউকে গালিগালাজ করব। একটা নির্ভেজাল আলোচনা চলছিল। যেখানে তীর্যক মজা ছিল। সেখানে হঠাৎ করেই অসীম বসু আমায় ধাক্কা দিয়ে দিল। আমি চমকে যাই। ওর ওই ধাক্কা আমায় টলাতে পারবে না। কিন্তু আমি অবাক হই হাউসের ভিতরেই যদি একজন জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হন। তাহলে সাধারণ মানুষ কেমন আছেন?"
কলকাতা: কেউ কারোর কলার ধরে টানছেন। কেউ জড়িয়ে পড়লেন বচসায়। সঙ্গে অশ্রাব্য কটূক্তি। শনিবার কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন কক্ষের ঠিক এই ছবিটাই দেখল আপামর রাজ্যবাসী। অধিবেশন চলাকালীন বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের মারামারির ঘটনা ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি করেছে। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে যখন বিস্তর জলঘোলা চলছে তখন TV9 বাংলায় বিস্ফোরক দাবি করলেন সজল। তাঁর বক্তব্য, হঠাৎ করে উত্তেজনার বসে কিছুই হয়নি। সবটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।
কী ঘটেছে?
আজ, TV9 বাংলায় সজল ঘোষ গোটা ঘটনার বিবরণ দেন। বলতে শুরু করেন ঠিক কী ঘটেছিল। তখনই অভিযোগ করেন, তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ইচ্ছা করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সজল ঘোষ: ওরা প্ল্যান করেই এসেছিল। কারণ উনি আজ যে সিটে বসেছিলেন প্রতিদিন সেখানে বসেন না। এ দিন এসে বিরোধীদের সিটে বসেছেন।
তৃণমূল কাউন্সিলর কেন মারধরের পরিকল্পনা করলেন?
সজল ঘোষ: ওদের কিছু দুর্নীতি আজ প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। তাই প্ল্যান করেছিলেন, যদি আমাদের উপর হামলা হয় তাহলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাব।
কীসের দুর্নীতির অভিযোগ?
সজল ঘোষ: কর্পোরেশন স্কুলে শিশুদের জামাকাপড় দেওয়ার নামে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর জেরে অনেকের ট্রান্সফার হয়েছে। একজন এমআইসি এর সঙ্গে যুক্ত। আজ এই দুর্নীতি প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল।
এ দিন, সজল বলেন, “আমায় পাগল কুকুরে কামড়ায়নি যে অকারণে কাউকে গালিগালাজ করব। একটা নির্ভেজাল আলোচনা চলছিল। যেখানে তীর্যক মজা ছিল। সেখানে হঠাৎ করেই অসীম বসু আমায় ধাক্কা দিয়ে দিল। আমি চমকে যাই। ওর ওই ধাক্কা আমায় টলাতে পারবে না। কিন্তু আমি অবাক হই হাউসের ভিতরেই যদি একজন জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হন। তাহলে সাধারণ মানুষ কেমন আছেন?”
যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “আত্মসম্মানে লাগলে, সকলে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে না। আত্মসম্মান চলে গেলে, সামাজিক সম্মান টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখন মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব হয় না।” মেয়রের দাবি, এখন তাঁদের বিরোধীদের কাজ করতে হয়। কলকাতার মানুষ এমনিই পুরনিগম বিরোধীশূন্য করে দিয়েছে। যে ৩-৪ জন রয়েছেন তাঁরাও এখন তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।