কলকাতা: ২ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ঝটিকা সফরে একের পর এক বৈঠক সারছেন তিনি। একটানা হারের মাঝে সংগঠনের নেতাদের মনোবল চাঙ্গা করতে বৈঠকেই দিচ্ছেন ‘বুস্টার ডোজ’। এদিকে উত্তর থেকে দক্ষিণ, সাম্প্রতিককালে একাধিক বিজেপি নেতা-সাংসদদের কথায় উঠে এসেছে বাংলা ভাগের তত্ত্ব। এবার তা নিয়েও নাড্ডার বৈঠক সরগরম হল বলে জানা যাচ্ছ। তবে এরই মাঝে খানিক ‘বেসুরো’ শোনাল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে (Soumitra Khan)। রাঢ় বঙ্গের দাবি খারিজ হওয়ায় প্রকাশ্য়েই ‘গোঁসা’ করতে দেখা গেল এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদকে।
সূত্রের খবর. নাড্ডা বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের বারেবারেই ঐক্য বার্তা দিচ্ছেন। রাজ্যকে অর্থনৈতিক ভাবে ভাগ করার প্রস্তাবও খারিজ হয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সবাইকে এক সুরে কথা বলারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সহজ কথায় সামগ্রিক সমন্বয়ের উপর জোর দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর বাংলাকে কোনও ভাবে ভাগ হতে দেওয়া যাবে না, বুধবার দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপদের এ ভাষাতেই কড়া বার্তা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ (B L Santosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরজার চর্চা।
অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে বাংলার জঙ্গল মহল সহ রাঢ় বঙ্গকে নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলে বিস্তর চাপানউতর। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে তাঁর প্রস্তাহ একেবারে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও সৌমিত্র খাঁ নিজের মতকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে দেখা যাচ্ছে। বিজেপি চায় না, অথচ সৌমিত্র পৃথক রাঢ় বাংলার দাবিতে অনড়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সে কথা প্রকাশ্যে বলতেও কুণ্ঠা নেই তার। এদিন বৈঠক থেকে বেরোনোর সময় রীতিমতো হাসিমুখে সৌমিত্র বলেন, “নেতারা ভালো করে কাজ করতে বললেন। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি রাঢ় বঙ্গ চায় না। আমি চাই”। সৌমিত্রর এই অবস্থান থেকে সহজেই প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় বিজেপির শৃঙ্খলা বার্তা কি মাঠে মারা যাচ্ছে? কথায় সুরে ঐক্য কই?